রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি ইজিপিপি প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও অনুপস্থিত শ্রমিকদের নামে টাকা উত্তোলনের পায়তারা করছেন ইউপি সদস্যরা। তারা যে সকল শ্রমিকদের নাম দেখিয়ে অর্থ বরাদ্দ করিয়েছেন তার অর্ধেক শ্রমিক মাঠে কাজ করছে, আর বাকি অর্ধেক কখনই এ কাজ করছেন না তবুও তাদের নাম হাজিরা খাতায় উঠিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন মেম্বরা। স্থানীয়রা বলেন- পিআইও স্যার প্রকল্প দেখতে এসে মেম্বরদের ডেকে কথা বলে চলে যায়। ফলে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের প্রকল্পগুলোতে একই অবস্থা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাধাগঞ্জ ইউনিয়নে আটাশিবাড়ি গ্রামে ৯৩ জন শ্রমিকের স্থানে ৪০ জন বটবাড়ি প্রকল্পে ৭৫ জনের স্থানে ৫০ জন, দিঘলীয়া প্রকল্পে ৬৪ জনের স্থানে ৫০ জন, রামশীল ইউনিয়নে রাজাপুর গ্রামের প্রকল্পটি এক স্থানে বরাদ্দ দেয়া হলেও কাজ করছে অন্যস্থানে সেখানে ৫৯ জনের স্থলে ৪২ জন, মুশুরিয়া প্রকল্পে ৬৩ জনের স্থানে ৩৩ জন, বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের শ্রীধাম কর্মকারের বাড়ির পাশে প্রকল্পে ৩৪ জনের স্থলে ১২ জন, সরোয়ার সিকদারের বাড়ি রাস্তা থেকে রহিম শেখের বাড়ির প্রকল্পে ৩৩ জনের স্থানে ২০জন, কলাবাড়িতে ৩টি প্রকল্পে ২২৩ জনের স্থানে ১১০জন শ্রমিক কাজ করছে। এ তথ্য প্রকল্পে কর্মরত লেবার সর্দারা নিশ্চিত করেছেন তবে তারা কোন হাজিরা খাতা দেখাতে পারেননি, তারা বলেছেন, হাজিরা খাতা মেম্বরদের কাছে থাকে।
এ ব্যাপারে প্রকল্পের সিপিসি মহানন্দ বাড়ৈ, রিনা বিশ্বাস, মুকুল হাওলাদার, ফুলমালা রায়, কমলেশ ঢালী বলেন, শ্রমিকেরা ধান কেটেছে তাই উপস্থিতি কম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন শ্রমিক বলেন, যারা ছাত্র এবং গৃহিনী এদের নামও শ্রমিকের খাতায় রয়েছে, অন্যদিকে কয়েক দিনের বন্ধ থাকা কাজের হাজিরা ও খাতায় উঠানো হয়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পলাশ কুমার রায় বলেন- যে প্রকল্পগুলোর শ্রমিক অনুপস্থিত বা ভুয়া নাম রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট হলে সে সমস্ত শ্রমিকদের নামের বিল দেয়া হবে না। এবার ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি ইজিপিপি প্রকল্পে ২য় পর্যায় ৩৬টি প্রকল্পে ২ হাজার ৯৯জন শ্রমিক দেখিয়ে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দ নেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।