Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত মেঘনার পাড়

রামগতি (লক্ষীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

লাখো পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত লক্ষীপুরের রামগতিতে অন্যতম দর্শনীয় স্থান মিনি কক্সবাজার নামে খ্যাত আলেকজান্ডার উপজেলা পরিষদের সামনে মেঘনা নদীতে ব্লকে বাঁধাই বেড়ি বাঁধ।

ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে জেলার অন্যতম অপরুপ এই দর্শনীয় স্থানে লাখো পর্যটক ভিড় করেছে এখানে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি দেশী বিদেশী পর্যটকরা ছুটে আসেন বেড়ি বাঁধ। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে ভিড় করেন অনেকে। বঙ্গোপসাগরের হিমেল হাওয়ায় শরীরটা জুড়িয়ে নিতে এখানে ছুটে আসেন তারা। স্বামী, সন্তান, পরিবার পরিজন নিয়ে দেখতে আসেন মেঘনা নদীতে জেলেদের রূপালি ইলিশ ধরার দৃশ্য কিংবা বিভিন্ন চর ডুবো চরে গরু মহিষ, ছাগল, ভেড়ার বাথান।

দল বেধে আসতে দেখা গেছে স্কুল কলেেেজর শিক্ষার্থীদের। অনেকে নদীতে স্পিড বোট এবং নৌকায় করে ঘুরে বেড়ান। শিক্ষার্থীরা মেতে উঠে ফুটবল ও সাতারে। বাঁধের জিওব্যাগের ভেতরের অংশ নিরাপদ হওয়ায় সকল লোক অনায়াসে নেমে পড়েন নদীর জলে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই টুরিস্ট স্পটে বাস, ট্রাক, পিকাপসহ নানান যানবাহন করে বুবুজেলা কিংবা মাইক বাজিয়ে উল্লাস করতে করতে আসতে দেখা গেছে পর্যটকদের।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।

জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে টুরিস্টদের বসার জন্য কিছু ছাতা ও স্ট্রিট সোলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় মো. জাফর, রায়হান, নবাব, নাসিম চৌধুরীসহ কিছু স্বেচ্ছাসেবী যুবক দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও টুরিস্ট স্পটের সার্বিক সুরক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন।

বেশ কয়েকজন পর্যটক জানান, এখানে আমরা অত্যন্ত নিরাপদভাবে আনন্দ উপভোগ করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল হক জানান, পর্যটন স্পটের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পর্যটকদের নিরাপত্তায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ