Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিন জেলায় তিলের বাম্পার ফলন

ঔষধি গুন সম্পন্ন তিলচাষে ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব

মো. অহেদুল হক, গোপালগঞ্জ : | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ফরিদপুর অঞ্চলের তিন জেলায় ঔষধি গুন সম্পন্ন উচ্চ ফলনশীল বিনা তিলের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত বিনা তিল- ২ চাষ করে ৩ জেলার কৃষক প্রতি হেক্টরে ১ হাজার ৭ শ’ কেজি ফলন পেয়েছেন। গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র এ তথ্য জনিয়েছে।

এ বছর আবহাওয়া তিল চাষের অনুকূলে ছিল। ক্ষেতে পোকা মাকড়ের আক্রমন হয়নি। এ কারণে তিলের বাম্পার ফলন হয়েছে। বপনের ৯০ দিনের মাথায় কৃষক ক্ষেত থেকে তিল ফসল কেটে ঘরে তুলেছেন। তিল চাষ করে কৃষক পাটের তুলনায় অন্তত দ্বিগুন টাকা আয় করেছেন । ঔষধি গুন সম্পন্ন এ তিলের তেল হৃদরোগ, চর্ম রোগ প্রতিরোধী ও চুলের যতেœ অতুলনীয়। এ জাতের তিলচাষ বৃদ্ধি করে ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব। এ ছাড়া তিলের ফলন দেখে লাভজনক এ তিলচাষে ৩ জেলার কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর জেলার ৫০ একর জমিতে বিনা তিল-২ এর ১শ’টি প্রদর্শনী প্লট করেন ১শ’ জন কৃষক। বিনা উপকেন্দ্র থেকে কৃষককে বিনামূল্যে বীজ, সার, ছত্রাকনাশক প্রদান করা হয়। পাশাপাশি বিনা উপ কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ও বৈজ্ঞানিক সহকারিরা ৩ জেলার কৃষককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন। বিনা উপ কেন্দ্রের পরামর্শে বিনা তিলের আবাদ করে কৃষক হেক্টরে ১.৭ টন ফলন পেয়েছেন।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার শুকতাইল গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ বাবু শেখ বলেন, এ বছর বিনা উপকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে বীজ, সার, ছত্রাকনাশক পেয়ে প্রথম বিনা তিল-২ চাষ করি। এ জন্য বিনা উপকেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা মাঠে এসে পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি এ বছর আবহাওয়া তিল চাষের উপযোগী ছিলো। পোকার আক্রমন না হওয়ায় তিলের বাম্পার ফলন পেয়েছি। আমার ক্ষেতের তিল দেখে আশপাশের কৃষক আগামি বছর তিলচাষ করতে চাচ্ছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকেরডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আরাফাত সরদার বলেন, এ তিল ৯০ দিনে ক্ষেত থেকে কেটেছি। এখন অন্য ফসল চাষ করতে পারছি। পাশাপাশি তিল চাষ করে পাটের তুলনায় দুই গুন বেশি লাভ করেছি। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের উন্নয়ণে উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত সম্প্রসারণে বিনা কাজ করে যাবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।

গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের এসও মো. শেফাউর রহমান বলেন, স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন বিনা তিল-২ চাষ করে কৃষক একই জমিতে বছরে ৩টি ফসল উৎপাদন করতে পারবেন। এতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। কৃষকের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের এডিডি মো. আ. কাদের সরদার বলেন, ঔষধি গুন সম্পন্ন তিলের তেল হৃদরোগ, চর্মরোগ প্রতিরোধী ও চুলের যতেœ অতুলনীয়। এ জাতের তিলে ৫০ ভাগ তেল পাওয়া যায়। লাভজনক তিলচাষ বৃদ্ধি করে ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ