বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনীতে দুই ও ঢাকার নবাবগঞ্জে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে ডেস্ক রিপোর্ট-
ফেনী জেলা সংবাদদাতা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফেনীর শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে গত শনিবার রাতে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়াত জামিল ফাহিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭ শনিবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসের পাশে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গেলে মাদক বিক্রেতারা র্যাবকে লক্ষ করে গুলি করে, র্যাবও গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে দুই জন মাদক বিক্রেতা নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে একজন কুমিল্লা জেলার বাংগুড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মাহবুবুল হাসান রুবেল। নিহত আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি শুটার গান, ১৭ রাউন্ড গুলি ও ৫ টি গুলির খোসা উদ্ধার করে র্যাব। পরে নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়।
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী রিপন মোল্লা নিহত হয়েছে। গতকাল রোববার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেআস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
নিহত রিপন মোল্লা মাদারিপুর জেলার রাজৈর উপজেলার পূর্ব স্বরমঙ্গল গ্রামের (হৃদয় মঙ্গল গুচ্ছ গ্রাম) এরেন মোল্লার ছেলে। সে নবাবগঞ্জের সাম্প্রতিক জোড়া খুৃনের মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে কেরাণীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও রাজৈরসহ বিভিন্ন থানায় দুইটি হত্যা, ৫টি ডাকাতি, ১টি অস্ত্র মামলাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে।
শনিবার রাত দেড়টার দিকে রিপন মোল্লাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে বের হয় পুলিশ। পথে মাঝিরকান্দা-মহব্বতপুর সড়কের ডাঙ্গারচক এলাকায় ওঁত পেতে থাকা রিপন মোল্লার ৭/৮জন সহযোগী তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এসময় রিপন মোল্লা সহযোগীদের গুলিতে আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে। পুলিশ ভোরের দিকে রিপন মোল্লাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল হোসেন, কাজী নাসের, এএসআই মিজানুর রহমান প্রধান, কনস্টেবল সেলিম রেজা, আ. রহমান, ড্রাইভার নোমান আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী রিভালবার, ৩ রাউন্ড গুলিসহ ধালালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে লিখিতভাবে জানানো হয়।
অন্যদিকে, নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, রিপন মোল্লা গত ২৩ মে’র জোড়া খুনের মামলার অন্যতম আসামি ছিল। ঐ মামলার ১২জন আসামির ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের ৩জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।