Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বান্ধবীর বাড়ি বেড়াতে এসে শ্লীলতাহানির শিকার

আপত্তিকর ছবি তুলে নেটে দেয়ার হুমকি

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ঈদে বান্ধবীর বাড়ি শরণখোলায় বেড়াতে এসে কতিপয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীর হাতে শ্লীলতাহানি ও মারধরের শিকার হয়েছে অন্ত:সত্ত¡া পিংকি (১৭) ও হাফিজা (১৫) নামের দু’কিশোরী। এমনকি আপত্তিকর ছবি তুলে হুমকি দিয়ে বলা হয় - ঘটনা প্রকাশ করলে ছবি নেটে ছেড়ে দেয়া হবে। এ ঘটনায় বাঁধা দেয়ায় অপর বান্ধবীর পিতা, মাতা ও ভাবী সুমিসহ মোট ১১ জনকে মারধর করে আহত করা হয়েছে। এদের মধ্যে পিংকি ও সুমি আকতারকে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

গৃহকর্তা শরণখোলা উপজেলার মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের মোশারেফ হোসেন জানান, তার মেয়ে বেবী আকতার ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাকরি করার সুবাদে ওই এলাকার অপর চাকরিজীবী পিংকি আকতার ও হাফিজা আকতার মিলে এক সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকেন। গত ঈদের ন্যায় এবারের ঈদেও পিংকি ও হাফিজা তার মেয়ে বেবীর সাথে তার বাড়ি বেড়াতে আসেন। এ সময় এলাকার বখাটে জসিম উদ্দিন ও সোহেলের নেতৃত্বে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম দর্জি, মিজান সরদার, ইয়াকুব মিস্ত্রি, এলাকার মহিলা মেম্বর রোকেয়া বেগম ও চৌকিদার সগির হোসেনসহ কতিপয় চাঁদাবাজ বখাটে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ‘নস্টা মেয়ে’ আখ্যা দিয়ে মোশারেফ হোসেনের বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে খোন্তাকাটা বাজারের আনসার ও ভিডিপি ক্লাবে এনে দরজা জানালা বন্ধ করে মারধর ও শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় হাফিজা ও পিংিকির আপত্তিকর ছবি তুলে শাসিয়ে বলা হয়- সাংবাদিক কিংবা অন্য কাউকে ঘটনা জানালে এ ছবি নেটে ছেড়ে হবে।

এ বিষয়ে মহিলা মেম্বর রোকেয়া কিশোরী দুটিকে জসিম ও সোহেল শ্লীলতাহানি করার কথা স্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। অপরদিকে, ঘটনার নেতৃত্বদানকারি জসিম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, নুরুল ইসলাম ও রোকেয়া দু’জনে তাদেরকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। নুরুল ইসলাম ওদের কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তবে, নুরুল ইসলাম এসব বিষয় অস্বীকার করেছে।
এ সময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এলাকার ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান জমাদ্দার ও ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি এনামুল জমাদ্দার কবির ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম অপু মারধর ও শ্লীলতাহানীর কথা স্বীকার করে বলেন, তারা এদেরকে নিবৃত্ত করার শেষ চেস্টা করেও ব্যর্থ হয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করেন। মোশারেফ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সন্ত্রাসীরা ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খাঁনের লোক বিধায় থানা থেকে শালিস করার কথা বলে কালক্ষেপন করছেন।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। স্থানীয় চেয়ারম্যান মিমাংসার কথা বলে উভয় পক্ষের দায়িত্ব নেন। যদি সমাধান না হয় তাহলে এজাহার দিলে মামলা দায়ের করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ