বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর গ্রামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আসামি ও তাদের লোকজন বাদী ও স্বাক্ষীদের হুমকি দিয়ে আসছে।
মামলাটি প্রত্যাহার না করায় স্বাক্ষী ও বাদীপক্ষের লোকজনকে মিথ্যা অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। ফলে মামলায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে কুমিল্লা শহরের টমছমব্রিজ এলাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ধর্ষণ মামলার বাদী সেপু বেগম ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনসহ তাদের স্বজনরা।
মামলার বাদী সেপু বেগম বলেন, মুরাদনগর উপজেলার জয়নগর পাঁচকিত্তা গ্রামের মহিউদ্দিন ও বাহেরচর গ্রামের রুহুল আমিনসহ তাদের সঙ্গীয়রা তার মেয়ে পাঁচকিত্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর অপহরণ করে ঢাকার একটি বাসায় নিয়ে ৪ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। পরে ওই ছাত্রী কৌশলে বাসা থেকে পালিয়ে বাহেরচর গ্রামের বাড়ি চলে আসে। এ ঘটনায় ২০ নভেম্বর কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লাকে নির্দেশ দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই কুমিল্লা কার্যালয়ের এসআই মিজানুর রহমান চৌধুরী গত ৫ মার্চ মহিউদ্দিনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এ মামলার প্রধান আসামি মহিউদ্দিন পলাতক রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সেপু বেগম বলেন, পিবিআই কর্তৃক মামলার চার্জশিট দাখিলের পর আসামিরা ও তাদের লোকজন মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে, অন্যথায় বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে ও নানাভাবে হয়রানীর হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে মিথ্যা অভিযোগে আসামিপক্ষের লোকজন মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে গত ১৮ এপ্রিল কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পৃথক ৩টি এবং মুরাদনগর থানায় গত ৪ জুন ১টি মামলা দায়ের করে হয়রানী করে আসছে। এরমধ্যে থানার মামলায় শাহ আলম (বাদীর বেয়াই) জেলহাজতে রয়েছেন। সেপু বেগম রোববার কুমিল্লা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করে হয়রানীর প্রতিকার চেয়ে আসামি গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।