রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
৪র্থ ধাপের তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের পক্ষে কাজ করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংঠনিক সম্পাদক মো. আলম সরকারের উপর অতর্কিত হামলা করেছে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা এমন অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা আলম সরকার । ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৭টায় উপজেলার দক্ষিন আকালিয়া সিকদার বাড়িতে। পরে রাত ১০টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন ভূইয়া ও তিতাস থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থল থেকে রক্তাত্ব অবস্থায় আহত আলমকে উদ্ধার করে তিতাস স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ওগলে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা কলেজ মেডিকেল প্রেরণ করে। আলম বর্তানে ঢাকা কলেজ মেডিকেল চিকিৎসাধীন আছে। দলীয় সুত্রে জানা যায় ৩১ শে মার্চ চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের দিন মাছিমপুর আর আর ইনিস্টটিউশন কেন্দ্রে গিয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেলের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরহাদ আহম্মদ ফকির আলম সরকারকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দক করায় আলম সরকারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করেছিল ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরহাদের উপর,তারই জেরধরে বৃহস্পতিবার আলমের উপর হামলা করেছে ফরহাদসহ তার নেকাকর্মীরা। এবিষয়ে আলমের স্ত্রী সাবিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী পারভেজ ভাইয়ের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারভেজ ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিল আলম সরকার। এসময় ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদের নের্তৃত্বে আমার স্বামীর উপর হামলা করেছে, শুধু তাইনয় প্রায় ৩ঘন্টা আটকিয়ে রেখে মারধর করেছে আমার স্বামীকে। আমার স্বামী আলম সরকার মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী সোহেল সিকদারের ওনৗকা মার্কার পক্ষে নির্বাচন করায়,এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। আমার স্বামী নৌকার পক্ষে কাজ করায় নির্বাচনের দিন হাত-পা ভেঙ্গে ফেলাসহ চুখ উপরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে ফরহাদ। সাবিনা তার স্বামীর উপর হামলা কারীদের চিহ্নত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় এমপি, স্থানীয় নের্তৃবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় নের্তৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এদিকে ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ আহম্মেদ ফকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি এমপি মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে এবং ওসিকে ফোন দিয়ে এনে আলমকে উদ্ধার করেছি,কোন ছাত্রলীগের কর্মী এ ঘটনার সাথে জরিত না।
পারভেজ হোসেন সরকার সাংবাদিকদের বলেন ওমহমান নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম এমন সময় জানতে পারি আলম ভাই আসছে, আমি যেয়ে ওনার সাথে কুশল বিনিময় করে মেহমানদের ওখানে চলে যাই। কিছুক্ষন পর শুনতে পাই আলম ভাইকে কে বা কারা মারতেছে শুনে দ্রæত ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন ভাই ও ওসিকে ওডকে এনে ওনাদের হাতে তুলে দেই, তবে বিষয়টি পূর্ব শত্রæতার জের বলে মনে হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন ভূইয়া বলেন খবর পেয়ে আমি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় আলমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি এবং আমাদের এমপি মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে তিনি এলাকায় আসলে আলোচনা করে যে কোনো সিদ্বান্ত নেয়া হবে। তিতাস থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম হামলার ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন হামলাকারীদের গ্রফতার অভিযান চলছে, খুব শিঘ্রই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।