রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নাটোর শহরের পরে এবার লালপুরের ওয়ালিয়ার মতো গ্রাম অঞ্চলে সাইনবোর্ডের মাধ্যমে মাদকের প্রতি চুড়ান্ত ঘৃণা ও মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িকে গণশৌচাগার তৈরীর মতো কড়া হুমকি জনিয়েছেন এলাকাবাসী।
শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালপুর উপজেলার ব্যস্ততম লালপুর-বনাপাড়া, দয়রামপুর-বনপাড়া সড়কের ওয়ালিয়া ট্রাফিক মোড়ে ‘অপকর্ম রোধে অপকর্মের ব্যবহার, মাদক বিক্রেতার বাড়ি হবে গণশৌচাগার’ প্রচারে এলাকাবাসী এমন একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গানো আছে। সাইনবোর্ডের দিকে যিনিই তাকাচ্ছেন তিনিই অবাক হচ্ছেন। নাটোর শহরের পরে গ্রাম অঞ্চলে এমন সাইনবোর্ড মাদকের প্রতি যেন চুড়ান্ত ঘৃণা জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সুশিল সমাজ বলছেন, সরকার দেশব্যপী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন, তারই ফলশ্রæতিতে মানুষ এখন ধীরে ধীরে সচেতন হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান অভিযানে জনমনে আস্থার সঞ্চার সৃষ্টি করেছ।
এব্যাপারে ওয়ালিয়া ইউপির চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মাস্টার ইনকিলাব কে বলেন, ‘মাদক নির্মূলে জনসচেতনার চেয়ে বড় কিছু নেই, তাই প্রশাসনের পাশাপাশি জনগনকে সচেতন করতে সামাজিক সংগঠন ওয়ালিয়া তরুণ সমাজের মাধ্যমে বিগত ২০১৭ সালের ৭ অক্টোবরে মাদক ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে জনসচতেনা বৃদ্ধিতে মানববন্ধন করা হয়। তারই ফলশ্রুতিতে এলাকাবসীর পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, আগামীতে মাদক প্রতিরোধে প্রশাসনের সহযোগিতায় সমাজের সকল জনগনকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলা হবে।’
ওয়ালিয়া তরুণ সমাজের সভাপতি আশিকুর রহমান টুটুল ইনকিলাব কে বলেন, ‘ঘৃণার উপর আর কোন প্রতিবাদ হয় না। মাদকের মতো ভংঙ্কর থাবা থেকে তরুণ সমাজ কে বাঁচাতে সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে একত্মা প্রকাশ করে সমাজিক ভাবে প্রতিরোধ ও জনসচেতনা বৃদ্ধিতে ২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ওয়ালিয়া তরুণ সমাজ কাজ করে যাচ্ছে। তারই ফল হিসেবে এবার এলাকাবাসী সাইনবোর্ডের মাধ্যমে মাদকের প্রতি সেই ঘৃণা প্রদর্শন করতে শুরু করেছে। সমাজের দায়িত্বশীলরা এগিয়ে এলে এবার মাদকের বিরুদ্ধে সত্যিকারের সামাজিক আন্দোলন হতে পারে তিনি মনে করেন।’
লালপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল ইনকিলাব কে বলেন, ‘লালুরে মাদকের কোন ঠাঁই হবেনা। মাদক নির্মূলে থানা পুলিশ নিয়োমিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। মাদক এখানে পুরোপুরি নির্মূল না হলেও আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। তবে মাদক প্রতিরোধে প্রয়োজন জনসেচতনাতা। জনসেচতনতা বৃদ্ধিতে নাটোর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন স্যারের নির্দেশে উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ও রাস্তায় খোদ পুলিশ সদস্যরা পুলিশ ভ্যানে মাইক লাগিয়ে মাদকবিরোধী বার্তা পৌছে দিয়েছে। কোন মাদক ব্যবসায়ী বা সেবনকারী যদি নিজের ভুল বুঝতে পারে, তবে পুলিশ তার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।