রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঈদের আগের দিন জ্যৈষ্ঠের বৃষ্টি নগর, গ্রাম-গঞ্জের পথঘাট ভিজিয়ে রাখলেও ঈদের দিন ভোরের ঘুমোট আবহাওয়া কাটিয়ে সকালৈ নীলাকাশে দেখা মেলে সাদা মেঘের বিচরণ। যেনো পবিত্র ঈদের দিনে শরতের শুভ্রতা ধরা দিয়েছে। এমন মনকাড়া আবহাওয়া পেয়ে ঈদের দিন দুুপুরের পর থেকেই উচ্ছ¡সিত নারী পুরুষ ও শিশুদের ঢল নেমেছিল কুমিল্লার প্রতিটি রাস্তা-ঘাট আর বিনোদন স্পটে। আনন্দের বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে মেতে উঠেছিল সবাই। কী ধনী আর কী গরীব। ছিল না কোন ভেদাভেদ।
ঈদের দিন দুপুর থেকেই সব বয়সী নারী পুরুষ ও শিশুদের ঢল নামে কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। আনন্দের বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে মেতে উঠেছিল সবাই। কী ধনী আর কী গরীব। ছিল না কোন ভেদাভেদ। নগরীর বিনোদন স্পটগুলোর মধ্যে নগর উদ্যানের শিশু পার্ক, ধর্মসাগরপাড়, চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ফান টাউন, লালমাই লেকল্যান্ড, কোটবাড়ি ডাইনোসার পার্ক, নুরজাহান ইকোপার্ক নারী-পুরুষ,তরুণ-তরুণী ও শিশুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। শিশু পার্কের রাইড চড়ার জন্য শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের ছিল দীর্ঘ লাইন। নগরীর ফাস্টফুড ও অভিজাত রেঁস্তোরাতেও ছিল তরুণ-তরুণীদের ভিড়। ভারি যানবাহন শূণ্য নগরীর রাস্তায় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে করে স্বপরিবারে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেকেই। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সববয়সী লোকজন মনের মাধুরী মেশায়ে ঘুরেছে নগরীর একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। এবারও আইন শৃংখলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারণে ঈদ উৎসব ঘিরে নগরীর কোথাও ছিলো না বখাটেপনা।
এদিকে ঈদের দিন বুধবার, পরদিন বৃহস্পতিবার এবং গতকাল শুক্রবারও কুমিল্লার দর্শণীয় স্থানগুলোতে নারী পুরুষ ও শিশুদের ঢল নেমেছিল। প্রত্বত্ত্ব সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক কোটবাড়ি ময়নামতি জাদুঘর, শালবন বিহার, রূপবান মুড়া, কুটিলা মুড়া এলাকা হাজার হাজার দর্শণার্থীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠেছিল। ময়নামতির শালবন বিহার ও জাদুঘরের কাষ্টোডিয়ান আহমেদ আবদুল্লাহ বলেন, এবারে অসংখ্য দর্শণার্থীর সমাগম ঘটেছে কুমিল্লার এই ঐতিহাসিক স্থানে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্রগ্রামসহ অন্যান্য জেলায় কর্মরত চাকুরিজীবী, ব্যবসায়িদের পরিবারগুলো কুমিল্লায় ঈদ করতে এসে কোটবাড়িতে সমতটের সপ্তদশ শতাব্দির ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো দেখে আনন্দ উপভোগ করে থাকে। বাইরের জেলার লোকজন ছাড়াও কুমিল্লার নানা বয়সী লোকজনের ভিড়ে জাদুঘর শালবন বিহারে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের ছুটি ঘিরে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টিকেট বাবদ দুই লাখের বেশি টাকার রাজস্ব প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে কুমিল্লার কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের স্মরণকালের বৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্তত অর্ধলক্ষ মুসল্লী জামাতে শরীক হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদগাহ মাঠে জায়গা না পেয়ে হাজারো মুসলী রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। ঈদগাহের বাইরে পার্করোড, সার্কিট হাউজ, শিল্পকলা একাডেমি, পুলিশ সুপারের বাসভবন সড়কে এবং প্রেসক্লাব সড়কে গিয়ে ঠেকেছে মুসল্লীদের নামাজের কাতার। ঈদের নামাজ শুরু আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।