Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোগান্তির শঙ্কায় যাত্রীরা

বিআরটিসির রিজার্ভ বাসের নেই রুট-শিডিউল

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ঈদে নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছাতে পোশাককর্মীদের জন্য ৩০টি বাস ও সাধারণ যাত্রীদের জন্য ২৯টি বাস রিজার্ভ রেখেছে রাষ্ট্রায়ত্ত¡ সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। গাজীপুর থেকে গার্মেন্ট শ্রমিক ও রাজধানীর বিভিন্ন ডিপো থেকে সাধারণ যাত্রীদের বাসগুলো দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। তবে, এসব বাসের রুট ও শিডিউল নির্ধারণ নেই। পোশাককর্মী ও গার্মেন্টস মালিকরাও এ ব্যাপারে জানেন না। আর বিআরটিসি বলছে, বাসগুলোর রুট-শিডিউল নির্ধারিত না থাকলেও যাত্রী এলেই যার যার গন্তব্যে ছেড়ে যাবে।
বিআরটিসির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মনিরুজ্জামান বাবু বলেন, ঈদের ছুটিতে পোশাক শ্রমিকদের বিভিন্ন গন্তব্যে পরিবহনের জন্য গতকাল সোমবার গাজীপুর চৌরাস্তায় ৩০টি বাস প্রস্তুত ছিল। এছাড়া রাজধানীর মিরপুর বাস ডিপো, সাভার নন্দনপার্কের সামনে, কল্যাণপুর বাস ডিপো, চন্দ্রা মোড, মতিঝিল বাস ডিপো, মহাখালী বাস টার্মিনাল, জোয়ারসাহারা বাস ডিপো, মোহাম্মদপুর বাস ডিপোতে অতিরিক্ত আরও ২৯টি বাস রিজার্ভ থাকবে। যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী এসব বাস বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। তবে এসব বাসের রুট নির্ধারিত না থাকায় যাত্রীদের আগ্রহ নেই। ফলে গতকাল দুপুরের পরও অধিকাংশ রিজার্ভ বাস পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
গতকাল দুপুরে মতিঝিল বাস ডিপোতে গিয়ে দেখা গেছে, ডিপোর সামনের রাস্তা ও ভেতরে সারিবদ্ধভাবে বাস রাখা হয়েছে। ভেতরে ডিপো ম্যানেজার মো. নায়েব আলীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা একটি অফিস আদেশ দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দেননি। পরে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ম্যানেজার বলেন, রিজার্ভ বাসগুলোর কোনও রুট নির্ধারিত নেই। এখান থেকে এখনও কোনও বাস ছেড়ে যায়নি।
এ প্রসঙ্গে জোয়ারসাহারা বাস ডিপোর ম্যানেজার মো. মশিউজ্জামান বলেন, আমার ডিপোতে ১০টি রিজার্ভ বাস দেওয়া আছে। এগুলোর কোনও রুট বা সময় নির্ধারণ করা নেই। সেগুলো মানুষের চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া হবে। আমার কাছে বিজিএমইএ’এর একটি পত্র এসেছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা কয়েকটি বাস দিয়েছি। বাকি বাসগুলো রাখা আছে। পুলিশ রাস্তার পাশে দাঁড়াতে না দেওয়ায় একটু ভেতরে রাখা হয়েছে। তবে, বিশেষ করে আমরা উত্তরবঙ্গের দিকে বেশি বাস দেবো। যাত্রী এলেই ছেড়ে দেবো। তিনি জানান, তবে গতকাল সকালে কোনো বাসও যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যায়নি।
বিআরটিসির রিজার্ভ বাসের বিষয়ে রাজিয়া বেগম নামে এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, সরকারি গাড়ি। কখন, কোথায় থেকে কোন দিকে যাবে, সেসব বিষয়ে তো কিছুই জানি না। সেখানে গেলেই যে আমার চাহিদামতো গাড়ি দিয়ে দেবে, তার কি ঠিক আছে? আমার গন্তব্যের যাত্রী না পেলে তো বাস ছাড়বে না। তখন তো বিপদে পড়তে হবে।
এমন আশঙ্কা করেছেন মতিঝিল বাস ডিপোর একজন কর্মচারীও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, যাত্রীদের চাহিদামতো বাস দেওয়ার কথা। কিন্তু রুট নির্ধারণ করা হয়নি। আগে থেকে রুট নির্ধারণ করা থাকলে তো আর যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হতো না। সে অনুযায়ী যাত্রীরা আসতো। এখন কখন গাড়ি ছাড়বে, যাত্রী ভরবে কখন? কোন দিকের যাত্রী হবে? এসব নিয়ে তো সমস্যায় পড়তে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ