পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এদেশে যত অপকর্ম হয়েছে তার সমস্তই আওয়ামী লীগের দ্বারা, আওয়ামী লীগের আমলে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আওয়ামী লীগকে সকল অপকর্মের জন্য দায়ী করে বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের শাসনামল দেখেছি। এই দলটার নেতা বড় বড় কথা বলে। এখন তো সুবিধা, একাই কথা বলে। আর কথা বলার সুযোগ নাই। অথচ এদেশে যত অপকর্ম সমস্ত তাদের দ্বারা হয়েছে। দুর্ভিক্ষ হয়েছে, চরম দুর্নীতি হয়েছে এবং গণতন্ত্রকে গলাটিপে মেরে ফেলেছে। এই সংবিধানকে কেটে-ছিঁড়েছে কে? এই আওয়ামী লীগ। গতকাল (রোববার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার (এনআরসি) ‘আঁধারের সাথে দ্ব›দ্ব’ শীর্ষক স্মৃতিস্মারক ও দেয়ালিকা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই প্রদশর্নীতে জিয়াউর রহমানের কর্মকান্ডের ৬০টি আলোকচিত্র স্থান পায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সেই পুরনো দুঃশাসন আজকে আবার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। আজকে দেখুন একইভাবে ভিন্ন আঙ্গিকে ওই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চেপে বসেছে এবং গণতন্ত্রের সমস্ত স্তম্ভগুলোকে ভেঙে দিয়েছে। রাষ্ট্রকে পুরোপুরি দলীয়করণ করে ফেলেছে, বিচার ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, এমনকি এখন মিডিয়া, যেটা গণতন্ত্রের প্রধান স্তম্ভ, তাকে তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। অথচ এই দলেই প্রতিষ্ঠা করা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ইজ জিয়াউর রহমান। তিনি ছিলেন সততার প্রতীক। এখন তার সততা নিয়েও ওরা কটাক্ষ করে। আর এখন আমরা শুনি বিদেশে স্তুপ হচ্ছে পাহাড়ের মতো করে বিত্তের, অর্থের, সম্পদের। অনেকের ৪/৫টা করে বাড়ি-ঘর হচ্ছে এই ঢাকা শহরে। দুর্নীতির পাহাড় গড়েছে, একেকজন পকেট ভারী করেছে। আমি বলব, আমাদের জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও দর্শনকে অনুসরণ করতে হবে। বিএনপিকে টিকিয়ে রাখা, বাংলাদেশি জাতিকে টিকিয়ে রাখার মূল মন্ত্র হচ্ছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। সুতরাং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বাইরে অন্য কিছু চিন্তা করা আমাদের জন্য সুইসাইডাল হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ওআইসি সম্মেলনে বলেছেন বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছেন। তার নাতিও শ্রীলঙ্কায় জঙ্গিবাদে মারা গেছে। সত্যি এটা দুঃখজনক ঘটনা। বিএনপির পক্ষ থেকেও এ ঘটনায় শোক প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু সারাদেশে এত যে শিশু নির্যাতন হচ্ছে তার আমলে এটা তিনি ওইআইসি সম্মেলনে বললেন না কেন? প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার অসংখ্য সন্তান বিচারবহির্ভ‚ত হত্যার শিকার হলো সেটা কিন্তু আপনি ওআইসি সম্মেলনে বললেন না। সেটা আপনি বলতে পারবেন না। একদিন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেউ একজন এসব কথা বলবে। আপনি যে অন্ধকারের মধ্যে গণতন্ত্রকে মৃত্যুকূপে ঠেলে দিয়েছেন সেটা একদিন কেউ না কেউ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বলবে।
সংগঠনের সভাপতি বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য টিএস আইয়ুব প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।