Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

গোবিন্দগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে এসে লাশ হলেন জামাই

প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে এসে লাশ হয়েছেন আশরাফুল ইসলাম (৩২) নামের ব্যক্তি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বালুয়া তালপট্টি গ্রামে গতকাল রোববার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে আশরাফুলের শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের একটি গাছ থেকে আজ সোমবার দুপুরে আশরাফুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আশরাফুল ইসলামের বাড়ি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের গাজীপাড়ায়। তিনি ওই গ্রামের মনতাজ উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ৫-৬ বছর আগে তালপট্টি গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে মফেলা বেগমকে বিয়ে করেন আশরাফুল ইসলাম। তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়ায় মফেলা বেগম ৩ মাস আগে পালিয়ে গিয়ে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। সেখানে অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেন। কিন্তু তারপরও আশরাফুল মফেলা বেগমকে নিয়ে সংসার করতে চান। এ নিয়ে আশরাফুল তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভায়রা ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। গত ২-৩ দিন আগে আশরাফুলকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে আনেন তার ভায়রা। এরপর আশরাফুল তার শ্বশুরবাড়িতে আসেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, রোববার রাতে যে কোন সময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন আশরাফুলকে বেদমভাবে মারপিট করে হত্যা করে। এরপর তারা আশরাফুলের লাশ পাশের গ্রামের একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। খবর পেয়ে আজ সোমবার সকালে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আশরাফুলের বাবা মনতাজ উদ্দিন ব্যাপারীর অভিযোগ, ‘আশরাফুলকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরপর তার লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।’ গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। মারপিট করে তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে পাওয়া যায়। সে কারণে সাঘাটা থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান, এ ঘটনায় সাঘাটা থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ