বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রংপুর জেলা সংবাদদাতা : রংপুরের মিঠাপুকুরে শিশু আনন্দ ওরফে বিশাল চন্দ্রকে (৫) হত্যার দায়ে মা আদুরি রানী (৩৫) ও সৎ বাবা বীপিন চন্দ্রকে (৪০) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর ২টায় রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান হিন্দুপাড়া এলাকার বিকাশ চন্দ্রকে ছেড়ে বীপিন চন্দ্রকে বিয়ে করেন আদুরি। দ্বিতীয় বিয়ের পর আদুরির ছেলে আনন্দ তার নানী শোভা রানীর কাছেই থাকত। মাঝে মাঝে সে মায়ের কাছে যেত। কিন্তু আনন্দের ওই বাড়িতে যাতায়াত সৎ বাবা বীপিন ভালভাবে মেনে নিতে পারতেন না। এক সময় ছেলের প্রতি মায়েরও বিতৃষ্ণা জন্মে।
পরে ঘটনার দিন ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল আনন্দ নানাবাড়ি থেকে মায়ের কাছে গেলে বীপেন ও আদুরি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গলাটিপে হত্যার পর গোয়াল ঘরের মেঝেতে গর্ত করে পুঁতে রাখে।
এদিকে সন্ধ্যার পর নানী শোভা রানী নাতি আনন্দকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে এলাকার কয়েকজন মিলে আদুরির বাড়িতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আদুরি স্বীকার করেন যে আনন্দকে তারা হত্যা করেছেন। এসময় আদুরির স্বামী বীপিন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে আনন্দের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ১২ এপ্রিল পুলিশ বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ ও জেরা শেষে আজ সোমবার বিচারক আসামি আদুরি রানী ও তার দ্বিতীয় স্বামী বীপিন চন্দ্রের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ফারুক মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম ও আসামি পক্ষে ছিলেন এড. রেয়াজুল হায়দার খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।