বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে ঈদের কেনাকাটা করা সম্ভব হয়নি। তাই গত শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামীর সঙ্গে নিউমার্কেটে যান গৃহবধূ নুরুন্নাহার (২৫)। দুই সন্তান ও নিজের জন্য কেনাকাটা করলেন। রাত তখন ৩টা। কিন্তু কেনাকাটা শেষে ঘরে ফেরা হলো না নুরুন্নাহারের। স্বামীর মোটরসাইকেলে চড়ে বাসায় ফিরার পথে গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় তার স্বামী আবদুল হালিমও আহত হয়েছেন।

নিহতের বাড়ি কিশোরগঞ্জ তাড়াইল উপজেলার লাকপুর গ্রামে। দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বাড্ডা নতুন বাজার এলাকায় থাকতেন।

নিহতের স্বামী আবদুল হালিম জানান, তিনি পেশায় গাড়ি চালক। তাদের দুইটা ছেলে সন্তান রয়েছে। ব্যস্ততার কারণে কেনাকাটা করা সম্ভব হয়নি। তাই শুক্রবার রাতে স্ত্রীকে নিয়ে নিউমার্কেটে যান। সেখান থেকে নিজের জন্য, স্ত্রী ও দুই সন্তানের জন্য কেনাকাটা করে মোটরসাইলেযোগে বাসায় ফিরছিলেন। তখন প্রায় ভোর হয়ে গেছে। হালিম জানান, তারা কাঁটাবন এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে আবদুল মোনেম গ্রæপের রেডিমিক্স কনক্রিটের একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। এসময় নুরুন্নাহার মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে তাকে চাপা দেয় কনক্রিটের গাড়িটি। ফলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় তিনিও আহত হন। পরে লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন হালিম। তিনি বলেন, ঈদটা মাটি হয়ে গেলো। আমার দুই সন্তানকে এখন কে দেখবে? ঘটনায় জড়িতদের সব্বোর্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।

শাহবাগ থানার এসআই চম্পক চক্রবর্তী জানান, বড় কনক্রিটের গাড়ির চাপায় ওই নারী নিহত হয়েছেন। মূলত গাড়ির চালকের অসাবধানতাবশত এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতের স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনায় জড়িত চালক সাইদুল ও তার সহযোগী পাভেলকে গ্রেফতার করে গতকালই কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।