Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে

বিআইডব্লিউটসি’র নৌযান

নাছিম উল আলম, বরিশাল থেকে | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখি জন স্রোত শুরু হলেও রাষ্ট্রীয় নৌ পরিবহন সংস্থার নৌযানে যাত্রী নেই। এবার ঈদের আগে-পড়ে অন্তত দশ লাখ যাত্রী নৌপথে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করবে।

গত ৩০ মে থেকে ঢাকা থেকে বরিশালের বিভিন্ন গন্তব্যে বিআইডব্লিউটসি বাড়তি নৌযানে ‘বিশেষ সার্ভিস’ চালু করলেও যাত্রীবান্ধব সূচির অভাবে ঐসব নৌযান চলছে অনেকটা ফাঁকা অবস্থায়। অথচ বেসরকারি নৌযানগুলো চলছে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে।

গত ৩০ মে বিআইডব্লিউটসির পিএস টার্ণ জাহাজটি নিয়মিত রকেট স্টিমার সার্ভিসে ঢাকা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকেরও কম যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর-বরিশাল-মোড়েলগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। চাঁদপুর থেকে আরো শ’ দুয়েক যাত্রী নৌযানটিতে আরোহন করলেও বরিশাল বন্দরে অর্ধেকেরও বেশি ফাঁকা হয়ে যায়। ঐদিনই সন্ধ্যা ৭টায় এমভি মধুমতি নামের একটি ¯ুŒ-হুইল নৌযান বিশেষ সার্ভিসে চাঁদপুর-বরিশাল হয়ে পিরোজপুরের হুরারহাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। সাড়ে ৭শ’ যাত্রী বহনক্ষমতা সম্পন্ন আড়াইগুনেরও বেশি জ্বালানী ব্যয়ের ঐ নৌযানটিতে যাত্রী ছিল ২শ’ এর থেকেও কম। অথচ ঐদিনই রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে বেসরকারি অন্তত ১০টি নৌযান বরিশালের উদ্দেশ্যে ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুন যাত্রী নিয়ে ঢাকা বন্দর ত্যাগ করে।
মূলত বিআইডবিøউটিসির নৌযানগুলো যে সময়ে ঢাকা থেকে ছাড়ছে, তখন বেশীরভাগ যাত্রীর পক্ষেই সদরঘাটে পৌঁছানো সম্ভব হয়না। ফলে এসব নৌযানে ভ্রমণে যাত্রীদের তেমন কোন আগ্রহও থাকছে না। যাত্রী সাধারনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন যাবত সংস্থাটির নিয়মিত রকেট সার্ভিসের নৌযানগুলো ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং ঈদের বিশেষ সার্ভিসের নৌযানসমূহ রাত সাড়ে ৮টার পরে যাত্রা করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শনিবার বিকেলে বিআইডব্লিউটিসির যাত্রী সেবা ইউনিট প্রধান খালেদ নেওয়াজ জানান, আজ থেকে বিশেষ সার্ভিসের স্টিমারগুলো সন্ধ্যা ৭টার পরিবর্তে রাত ৯টায় ঢাকা বন্দর ত্যাগ করবে। তার মতে, ঢাকার সদর ঘাটে সংস্থার নৌযানগুলোকে মূল টার্মিনালে ভিড়তে দেয়া হচ্ছে না। এ কারণেও যাত্রী হচ্ছে না।

অপরদিকে বরিশাল থেকে লক্ষীপুর রুটের জন্য সংস্থাটি এসটি-খিজির-৮ নামের একটি সি-ট্রাক বেসরকারি খাতে ইজারা দিলেও গত বৃহস্পতিবার থেকে সে নৌযানটি ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষীপুর রুটে চলাচল করছে। ফলে চট্টগ্রামে কর্মরত যাত্রীদের এবার বরিশালের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছতে চরম দুর্ভোগের পাশাপাশি ঝুঁকিতেও পড়তে হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ