Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘরের সাথে পুড়ে গেছে ঈদ আনন্দ

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

ফারজানা ছোট থাকতে পারিবারিক সমস্যার কারণে বাবা-মা দুইজন দুই প্রান্তে আলাদা থাকে। একা ফারজানা গরিব অসহায় ভ্যানচালক দাদার কাছে বড় হচ্ছে। ফারজানা বাবা-মা’র কাছ থেকে ভালবাসাতো দূরে কথা ঈদ উপলক্ষে ভাল একটা পোশাক কখনো পেয়েছি কিনা তাও ঠিক করে বলতে পারে না। ফারুক মীর নামে এক দিনমজুরের বসত ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হওয়ার সাথে নাতির ফারজানা (৭) সাহায্য পাওয়া ঈদের পোশাক পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ছোট শিশু ফারজানার দাদা ফারুক মীর দিনমজুর কাজ করে বিকেলে পাশে বাজারে যায় এবং ফারজানা পাশের বাড়িকে ছিল আর সে সময় কিভাবে হঠাৎ করে আগুন লাগে তা কেউ বলতে পারছে না। ঘরে থাকা দুইটা কাঠের চকি, একটি কাঠের শোকেজ, পড়নের কাপড় চোপর সহ যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এক পর্যায়ে এলাকার মানুষ এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও ততক্ষনে বসতঘরের রাখা কিছু জমানো (২০ হাজার) টাকা ও দাদা-নাতি ফারজানার সাহায্য পাওয়া ঈদের জামা- কাপুড়সহ সকলকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একমাত্র ছোট বসতঘরসহ সব কিছু হারিয়ে ঈদের পূর্ব মুহূর্তে দিন মজুর ফারুক এখন দিশেহারা।

দিনমজুর ফারুক মীর বলেন, আমি এখন কি করবো, কিভাবে নতুন বসতঘর তুলবো, আমারটা না হয় বাদ দিলাম কিন্তু আমার একমাত্র আসা, যাকে নিয়ে আমি বেঁচে আছি সেই ফারজানার আমার নাতির ঈদের জামা- কাপড় কিভাবে কিনবো, এখন মানুষের কাছে হাত পাতা ছাড়া উপায় নেই। তাও কে আমায় সহযোগিতা করবে?

মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা শুনে আমিও মর্মাহত, আমি ব্যাক্তিগতভাবে ছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু পারি সহযোগিতা করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ