পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল শুক্রবার সকালে নয়া পল্টন এলাকায় বেগম জিয়ার মুক্তি ও সুচিৎসার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করছে’- সেতুমন্ত্রীর এমন বক্তব্য হাস্যকর। সরকার খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি অসুস্থ ছিলেন এবং বিদেশে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। খালেদা জিয়া এদেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী ও চুয়াত্তর বছর বয়স্ক একজন নারী। তিনি গুরুতর অসুস্থ। বিশেষায়িত হাসপাতালে আমরা তার সুচিকিৎসা দাবি করেছি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ এতটা অমানবিক যে তার চিকিৎসা নিয়েও কটাক্ষ করছে। এমনকি আইনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে জামিনেও বাধা দিচ্ছে। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। সুতরাং দেশনেত্রীকে বন্দি করে রাখা এবং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র একই সূত্রে গাঁথা। কোন ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত আছে। তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে ঈদের আগেই খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, কিছু কিছু গণমাধ্যম সরকারের ইন্ধনে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এমনকি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়েও নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করছে। আওয়ামী লীগ সরকার চেয়েছিল খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখে বিএনপিকে ধ্বংস করে দিতে। কিন্তু সরকারের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। লাখ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে, গ্রেফতার করে, নির্যাতন, গুম, খুন করেও বিএনপি নেতাকর্মীদের দমানো যায়নি।
রিজভী বলেন, বিএনপিকে ভাঙার সরকারের কোন অপচেষ্টাই সফল হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরে সরকার গঠন করেও তাদের স্বস্তি নেই। দেশ-বিদেশে বির্তর্কিত সেই নির্বাচন বৈধতা পায়নি। তাই বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর অপচেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। কারাবন্দী থাকলেও সারাদেশব্যাপী বিএনপি’র লাখ লাখ নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার উপস্থিতি অনুভব করেন।
এরআগে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সকাল ১০টায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এতে অংশগ্রহণ করেন- বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য টিএস আইয়ুব, ছাত্রদলের সহ-সভাপত আলমগীর হোসেন সোহান, সহ-সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম মিঠু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইফতে খায়রুজ্জামান শিমুল, ছাত্রদল নেতা জিসান, সুমন হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।