Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেড়েছে মুরগি-মসলা কমেছে সবজির দাম

ঢাকা-চট্টগ্রামের কাঁচাবাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

 ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে মুরগি ও বিভিন্ন মসলার দাম। তবে কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া সবজির দাম কিছুটা কমেছে। বেশিরভাগ সবজি ৩০ টাকা কেজির মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অথচ রোজার শুরুতেও কোনো সবজির দাম ৫০ টাকা কেজির নিচে ছিল না। এছাড়া ডিম, মাছ, গরু ও খাসির গোশতের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও মরিচের দাম।

গতকাল শুক্রবার কারওয়ানবাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাকিস্তানি কক কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-২৯০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলো ২৪০-২৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৩০-১৩৫ টাকা। মুরগির গোশতের দাম প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের আল্লাহর দান চিকেন ব্রয়লার হাউসের মালিক আজিজ বলেন, মুরগির সরাবরাহ কম। বাজারে মুরগি না আসলে আমাদের তো আর কিছুই করার থাকে না। সামনে ঈদ রাস্তায় যানজট বেশি। সেজন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুরগি আসতে পারছে না। তাই, বেশি দামে পাইকারদের কাছ থেকে মুরগি কিনতে হচ্ছে। ফলে আমাদেরও বেশি দামেই ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজার হাতের নাগালের বাইরে। এলাচের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৫শ’ টাকা। কয়েকদিন আগেও যে এলাচ কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ২৪শ’ টাকা বর্তমানে এলাচ কেজি প্রতি ২৮শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি জয়ত্রী ২৪শ’ টাকা, যা কিছুদিন আগেও ছিলো ২ হাজার টাকা। পেস্তা বাদাম ২২শ’ টাকা যা কিছুদিন আগে ছিলো ১৮শ’-১৯শ’ টাকা। লবঙ্গ মানভেদে ৮৫০-৯শ’ টাকা যা রমজানের শুরুতেও ছিলো ৭শ’-৭৫০ টাক। কিসমিস কেজি প্রতি ৪শ’ টাকা যা রমজানের শুরুতে ছিলো ৩শ’ টাকা।

মসলার দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী আল-আমিন বিশ্বাস বলেন, দাম বেড়েছে কারণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আমরা তো আর ইচ্ছা করে দাম বাড়াই না। পাইকারি বাজারে যেমন বিক্রি হবে আমরা খুচরা বাজারে তেমন বিক্রি করব।
অন্যদিকে, সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢেঁড়সের কেজি ২০-৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৪০ টাকা। ঝিঙের পাওয়া যাচ্ছে ২৫-৩০ টাকার মধ্যে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমার তালিকায় আরও রয়েছেÑ শিম, করলা, কাকরোল, পটল, বেগুন। গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিম বাজার ভেদে পাওয়া যাচ্ছে ২৫-৩৫ টাকায়। পটল বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫-৪০ টাকা। গত সপ্তাহে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম কমে ২৫-৩০ টাকায় নেমে এসেছে। কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। বেগুনের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫-৪০ টাকার মধ্যে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। বরবটির কেজি আগের সপ্তাহের মতো ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দাম অপরিবর্তিত থাকা অন্য সবজিগুলোর মধ্যে ধুন্দুল ৪০-৫০ টাকা, শসা ২০-৩০ টাকা, পাকা টমেটো ২৫-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম কমার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদ করতে ইতিমধ্যে অনেকেই গ্রামের বাড়ি গেছেন। এতে ঢাকা শহরে মানুষ কমার পাশাপাশি সবজির চাহিদাও কমেছে। এ কারণে সবজির দাম কিছুটা কম। তবে ঈদের পর আবার সবজির দাম বাড়তে পারে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম। পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো খুচরা বাজারে ২৫-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারিতে পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা। কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।

এদিকে কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া মাছের দাম এখনো বেশ চড়া রয়েছে। তেলাপিয়া আগের মতো বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজি। রুই ২৮০-৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০-৭০০ টাকা, টেংরা ৫০০-৮০০ টাকা, শিং ৫০০-৬০০ টাকা এবং চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দাম

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৯ জানুয়ারি, ২০২৩
১৪ জানুয়ারি, ২০২৩
১০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ