Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে ঈদ বাজারে সিন্ডিকেট : ভারতীয় কাপড়ে সয়লাব

আইয়ুব আলী | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৯, ১২:০৮ এএম


চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। নগরীর অভিজাত বিপণি কেন্দ্র থেকে শুরু করে মার্কেট, শপিং মলগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। প্রচÐ গরমের কারণে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতা কম থাকলেও বিকেলের পর মার্কেট, শপিং মলগুলোতে ক্রেতার ঢল নামছে। ঈদকে ঘিরে দেশি-বিদেশি হরেক পোশাকে ঠাসা প্রতিটি দোকান। ঈদ বাজারেও সক্রিয় সিন্ডিকেট, কম দামে কেনা কাপড় বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। অভিজাত মার্কেট, শপিং মলগুলোতে ভারতীয় কাপড়ে সয়লাব। ক্রেতা আকর্ষণে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ব্যবসায়ীরা জানান, রোজার প্রথম থেকে ক্রেতা কম হলেও পনের রোজার পর থেকে ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। মার্কেটে দেশিয় পোশাকের চেয়ে বিদেশি পোশাকের কদর বেশি লক্ষ্য করা গেছে। অনেক দোকানে ‘ফিক্সড প্রাইজের’ নামে চলছে প্রতারণা। ক্রেতাদের কাছ থেকে দুই-তিন গুণ বাড়তি দাম নেয়া হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা যায়, বন্দরনগরীর নিউমার্কেট, আফমি প্লাজা, সানমার ওশ্যান সিটি, রেয়াজুদ্দিন বাজার, টেরিবাজার, তামাকুমÐি, গুলজার টাওয়ার, মতি টাওয়ার, সেন্ট্রাল প্লাজা, চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স, আমিন সেন্টার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর মার্কেটে ক্রেতার ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। এছাড়া চকবাজারের কেয়ারী ইলিশিয়াম, মতি কমপ্লেক্স, ফিনলে স্কোয়ার, কাজির দেউড়ি-ভিআইপি টাওয়ার, হকার মার্কেট, মহাজান গোল্ডেন টাওয়ার, আলী শাহ প্লাজা, ঝনক প্লাজা, বে-ভিউ শপিং সেন্টার, লাকী প্লাজা, সাউথল্যান্ড সেন্টার, ব্যাংকক সিঙ্গাপুর মার্কেট, কর্ণফুলী মার্কেটেও ঈদের কেনাকাটা চলছে। ঈদ বাজারে শাড়ী, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে ভারতীয় পোশাকের আধিক্য রয়েছে।

অভিজাত নিউমার্কেটের অদুদ ফ্যাশনের মো. আবছার জানান, এবারের ঈদে লেহেঙ্গা থেকে শুরু করে মসলিন কাপড়ের এমব্রয়ডারী ও পাল্পের কাজ করা কাপড়ের পাশাপাশি ভারতীয় সারারা কাতান, আকসারা কাতানের কদর বেশী। দুই থেকে আট হাজারের মধ্যে সারারা কাতান এবং তিন থেকে ১০ হাজারের মধ্যে আকসারা কাতান পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া দেশী সফট বেনারসী সাড়ে তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা, জামদানি তিন থেকে ১২ হাজার টাকা, পিওর তসুরের এমব্রয়ডারী কাজ করা পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা, দোপিয়ান বুটিকসের কাজ করা সাড়ে ছয় হাজার থেকে সাত হাজার টাকা।

নগরীর অভিজাত বিপণি সানমার ওশ্যান সিটির ‘সাজ’ নামীয় চায়না বারবি পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা এবং বোম্বাই গারারা ছয় থেকে আট হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই মার্কেটে শৈল্পিকে হ্যান্ড এমব্রয়ডারী পাঞ্জাবী ১৪০০ থেকে ২২০০ টাকা এবং প্রিন্টেড পাঞ্জাবী ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ভারতীয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের পোশাকে ঠাসা মার্কেট বিপণি কেন্দ্র। তবে দেশি কাপড়েরও সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। দোকানিরা জানান, গরমের কারণে এবার সুতি এবং সিফন জাতীয় কাপড়ের চাহিদা বেশি। ছেলের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবীর পাশাপাশি টি-শার্ট এবং হাফ শার্ট বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। শিশুদের পোশাকের মধ্যেও নানা বৈচিত্র্য আছে। তবে আবহাওয়ার প্রতি খেয়াল রেখে থ্রি-কোয়টার প্যান্ট এবং হাফ শার্টের চাহিদা বেশি। এখন প্রায় সারা রাত বেচাকেনা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতারা মার্কেটে ঢুকেই পছন্দের জিনিস কিনে নিচ্ছেন। জমজমাট কেনাবেচা চলবে ঈদের আগের দিন চাঁদ রাত পর্যন্ত।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ