Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দর্শনার্থী টানছে জিয়া জাদুঘর

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

তবুও দর্শনার্থী টানছে চট্টগ্রামের জিয়া স্মৃতি জাদুঘর। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪৮১ জন জাদুঘর দেখতে আসছেন। গেল বছর দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ৭৫১ জন। দিনে দিনে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়লেও ভবনটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই।

অনাদর অবহেলায় মলিন ১০৬ বছরের এই পুরাতন ভবনের ইট-সুড়কি খুলে পড়ছে। ফাটল ধরেছে কোন কোন অংশে। বৃষ্টি হলে পানি গড়ায়-নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সব নির্দশন। ভবনের কোন কোনো অংশে ধস ঠেকাতে বাঁশ দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বড় ধরনের কোন সংস্কার না হওয়া এমন জীর্ণদশা অনন্য স্থাপত্য শৈলীর এই ভবনটির।

অভিযোগ রয়েছে, ‘টেকনিক্যাল’ কারণ দেখিয়ে সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন জাদুঘরটি সংস্কারে কোন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে জরাজীর্ণ ভবনটিতে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্রিটিশ আমলে ১৯১৩ সালে নির্মিত সার্কিট হাউজ ভবনটি জিয়া জাদুঘর। ৩৮ বছর আগে ১৯৮১ সালের ৩০ মে কালো রাতে এ ভবনে শাহাদাতবরণ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ভবনের প্রতিটি কক্ষে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের অসংখ্য ঘটনাবহুল নিদর্শন স্থান পেয়েছে।

জাদুঘরের কর্মকর্তারা জানান, বিগত বিএনপি সরকারের শেষ সময়ে এসে ২০০৬ সালে ভবনের কিছু সংস্কার কাজ করা হয়। এরপর থেকে জাদুঘরটি অবহেলিত হয়ে পড়ে। জাদুঘরের পক্ষ থেকে সংস্কারের জন্য ৫০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে তা অনুমোদনের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়। তবে সে প্রকল্প আর আলোর মুখ দেখেনি।

এদিকে জাদুঘরটি নাম পরির্তনের তোড়জোড় শুরু হওয়ায় ওই প্রকল্প অনুমোদন পাওয়াও এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পাল্টে ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর’ করার প্রস্তাব দেবেন বলে জানান। এরপরই জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের দাবিতে রাস্তায় নামেন সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত ১২ ফেব্রুয়ারি মিছিল নিয়ে জিয়া জাদুঘরের প্রধান ফটকে থাকা নামফলকে কালি লাগিয়ে দেয়া হয়। এরপর ওই ফলকের উপর ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর’ লেখা ডিজিট্যাল ব্যানার লাগিয়ে দেন তারা।

জাদুঘরের কিউরেটর মো মতিয়ার রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের দাবি উঠেছে তবে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের প্রতি কোন নির্দেশনা আসেনি। নামফলক মুছে ফেলাসহ সব বিষয় আমরা যথাসময়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। দীর্ঘদিন বড় ধরনের সংস্কার কাজ না হওয়ার বিষয়টি স্বীকারও তিনি বলেন, পুরাতন ভবনটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। দর্শনার্থীরা বলছেন, ঐতিহাসিক এই ভবন একটি মূল্যবান সম্পদ। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে এটিকে রক্ষা করা সকারের দায়িত্ব।



 

Show all comments
  • Mojib ৩০ মে, ২০১৯, ১২:৪৫ এএম says : 1
    নাম পরিবর্তন করে অপসংস্কৃতি কাহার ও জন্য সুখর না।মন মানসিকতা পরিবর্তন না করতে পারলে জাতীর উন্নতি হবে না ।
    Total Reply(0) Reply
  • Shams Mahmoud ৩০ মে, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
    সময় আসলে কারো কারো বাপের নামও পরিবর্তন হয়ে যাবে...
    Total Reply(0) Reply
  • Mujahid Raj ৩০ মে, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    সব কিছুরই একটা সীমা থাকা দরকার।জোয়ার সব সময় থাকে না-
    Total Reply(0) Reply
  • Firoj Ahmed ৩০ মে, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    আমাদের সংস্কৃতি এমন যায়গায় পৌঁছেছে যে অন্যকে অসম্মান করে আত্বতৃপ্তি পাই। যার যেটুকু সম্মান তা দেয়া উচিত, অন্যকে সম্মান করলে সম্মান পাওয়া যায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Rakib Ullah ৩০ মে, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    আলোর পর অন্ধকার, দিনের পর রাত এইসব পালাক্রমেই আসে। মাঝখান থেকে নিরহ জনগনের টাকাগুলো কোথায় যেন হারিয়ে যায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Gias Uddin Asgar ৩০ মে, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    বাংলাদেশের জন গণের মন থেকে কখনো শহিদ রাষ্ট্রপতি
    Total Reply(0) Reply
  • Salim Khan ৩০ মে, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    নিজে করে দেখালে ভালো হত। পরের জমি পরের জায়গা ঘড় বানায়া আমি রই আমিত সেই ঘড়ের মালিক নই
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ শরীফ সন্দ্বীপ ৩০ মে, ২০১৯, ৭:৪০ এএম says : 0
    জাদুঘর থেকে শহীদ জিয়ার নাম পরিবর্তন করবেন।কিন্তু জনগণের হৃদয় থেকে কিভাবে শহীদ জিয়ার নাম পরিবর্তন করবেন? শহীদ জিয়ার নামটি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের হৃদয়ে হৃদয়ে গাঁথা থাকবে।শহীদ রাষ্ট্রপতি, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা,স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্টাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৩৮ তম মৃত্যু বাষির্কীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। শহীদ জিয়া লও লও লও সালাম
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ শরীফ সন্দ্বীপ ৩০ মে, ২০১৯, ৭:৪৬ এএম says : 0
    স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া লও লও লও সালাম। যতো অপচেষ্টায় করুক না কেন জনগণের মন থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলা যাবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • তাসহান ১৮ জুন, ২০১৯, ২:১০ পিএম says : 0
    নামটা না মুছলে সরকারের প্রছুর অবদান তাকবে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাদুঘর

১৫ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ