বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাইকো মামলার বিচারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আদালত স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে করা রিটের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, আইনের বিধান আছে সরকার আদালত স্থানান্তর করতে পারে যেকোনো স্থানে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অভিযোগটি তুলছেন যে, কেরানীগঞ্জের আদালত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে। এ যুক্তি এই মামলায় টিকবে না। তার কারণ হলো- এই মামলায় বিচার করছেন একজন বিশেষ জজ। আর একজন বিশেষ জজের এখতিয়ার সমগ্র ঢাকা বিভাগজুড়ে। তাছাড়া আইনের বিধান আছে, সরকার যেকোনো জায়গায় আদালত স্থানান্তর করতে পারে।
রাষ্ট্রের প্রধান এ আইন কর্মকর্তা আরও বলেন, এমনটা এ দেশে নতুন নয়। এর আগেও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার, হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের বিচার, বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচার করতেও আদালত স্থাপন করা হয়েছিল। সর্বশেষ খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য আদালত স্থাপন করা হয়েছে। এর আগে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে যখন আদালত স্থাপন করা হয়েছিল তখন তারা এ নিয়ে কোনো আপত্তি করেননি কিন্তু এখন কেরানীগঞ্জে আদালত স্থানান্তর করা নিয়ে তারা যে আপত্তি করছেন, তার কোনো যুক্তিকতা নেই।
এদিকে ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলায় আসামিদের শিগগিরই বিচার শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আদালত কেরানীগঞ্জ নেয়া সরকার একটি দুরবিসন্ধি : মওদুদ আহমেদ
খালেদা জিয়ার আদালত কেরানীগঞ্জ নেয়া সরকার একটি দুরবিসন্ধিমূলক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি আরো বলেন, কেরানীগঞ্জ কারাগারের ভেতরে খালেদা জিয়ার মামলার শুনানির কোনো পরিবেশ নেই। কেরানীগঞ্জে সেখানে দুই ঘন্টা লাগে কারও যেতে। সেখানে লাইব্রেরী নেই, আইনজীবীদের বসার জায়গা নেই, মনে হয় যেন একটা মরুভুমি, আদালত করার কোন পরিবেশ নাই। কেন কার স্বার্থে শুধু মাত্র খালেদা জিয়াকে হয়রানি লাঞ্চিত করা জন্য কেরানীগঞ্জে এই কারাগার বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জের কারাগারের স্থানান্তরের জন্য সরকার আদেশ দিয়েছিল সংবিধান পরিপন্থী বলে মনে করে রিট করেছিলাম। সেখানে যে নাইকো দুর্নীতি মামলা শুনানির জন্য আজকে আদালত বসানোর প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে সেই মামলাটি তখনকার তথাকথিত অবৈধ একটি সরকারের সময়ে করা দুটি মামলা হয়েছিল। মামলায় ২৬ কোটি টাকা সরকারের ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে অভিযোগ তুলা হয়। তখনকার ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৩ হাজার কোটি টাকার আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ হাজার কোটির টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। কারণ আমরা ওই সরকারের ধারাবাহিকতা আমরা বলবৎ রেখেছিলাম, সেটাই আমাদের অপরাধ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।