Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স খসে পড়ছে পলেস্তারা

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৯, ১২:৫২ এএম

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এ হাসপতালে চিকিৎসা নিতে এসে রোগী ও তার স্বজনরা আহত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। জারাজীর্ণ ভবনে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে এ হাসপতালে চিকিৎসা সেবা চলছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাসপতালের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ২ শিশুসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। এরপর হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে রোগী বের করে বারান্দা ও ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। হাসপতাল কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডের দরজা তালা মেরে বন্ধ করে দিয়েছে।

জানা যায়, কোটালীপাড়া উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য ৫০ বেডের একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। সাধারণ মানুষ এখান থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। হাসপতালের ২য় তলায় মহিলা ও পুরুষ রোগীদের জন্য পৃথক দু’টি ওয়ার্ড রয়েছে। এ ওয়ার্ড দু’টির ছাদ অনেক আগেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। দেখা দিয়েছে অসংখ্য ফাঁটল। প্রায়ই ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রোগী, তাদের স্বজন, নার্স ও কর্মচারীরা আহত হচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালে অসুস্থ্য মামাকে দেখেতে এসে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের উজ্জ্বল মোল্লার শিশু পুত্র তামিম মোল্লা (৭) আহত হয়েছে। এ সময় তামিমের খালা নূর কুলসুম বেগম (১৯) ও খালাত বোন শারমিন খানম (৬) আহত হয়।

রোগীর স্বজন কোটালীপাড়া উপজেলার মধ্য হিরণ গ্রামের পারভীন বেগম বলেন, হাসপতালে আমরা আসি জীবন রক্ষা করতে। কিন্তু এখানে এসে দেখছি ভবনের বেহাল দশা। এখানে চিকিৎসক, নার্স, রোগী সহ হাসপতালের সবাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। যে কোন সময় ছাদ ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। হাসপতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স বর্ণালী রায় (৪৫) বলেন, মঙ্গলবার ওয়ার্ডে কাজ করার সময় ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। ওই বাচ্চাটির মাথা ফেটে রক্ত পড়ছিলো। আমি মাথা চেপে ধারে বাচ্চাটিকে জরুরী বিভাগে নিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেই। এর আগেও ফ্যান পড়ে নার্স আহত হয়েছে। এছাড়া ছাদের পলেস্তর প্রায়ই খসে পড়ে অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা মারাতক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।

কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. সুশান্ত বৈদ্য বলেন, ওই শিশুটিকে সব ধরনের সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমার ওষুধের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তার অবস্থা আশংকা মুক্ত। দু’ওয়ার্ড থেকে রোগী বের করে বারান্দা ও ফ্লোরে রাখা হয়েছে। হাসপতালের নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে রোগী স্থানাস্তর করতে পারলে এ ঝুঁকি নিরসন হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ