Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘৩৬ ভাগ স্কুলে মাসিক নিয়ে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৯, ৫:২৪ পিএম

মাসিক বিষয়টা শুধু মেয়েদের বোঝালেই হবে না, এটা নিয়ে ছেলেদের সাথেও কথা বলা সমান জরুরী। এটা স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক বিষয়, তাই এটা নিয়ে লুকোচুরি বা গোপনীয়তার কিছু নাই। ২০১৪ সালে ৬ ভাগ স্কুলে মাসিক নিয়ে শিক্ষা দেয়া হতো সেখানে ২০১৮ সালে ৩৬ ভাগ স্কুলে মাসিক নিয়ে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।

বিশ্বব্যাপি মাসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং উন্নত মাসিক ব্যবস্থাপনার সুবিধা নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৮ মে) ‘মাসিক স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং এমএইচএম প্লাটফর্ম যৌথভাবে কাকরাইলস্থ জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনে এ সেমিনারের আয়োজ করে।

অনষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়ির সচিব এস এম গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত সচিব বেগম রোকসানা কাদের, ইউনিসেফ’র ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ মায়া বেন্জামিন্ট, প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রাহমান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মিষ্ঠা দেবনাথ। প্রবন্ধে তিনি বাংলাদেশে নারীদের মাসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চিত্রটি তুলে ধরেন।

এই বছরের মাসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়, ‘মাসিক ব্যবস্থাপনায় সচেতন হই, আজই এখনই’ শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রাহমান জানান, আমরা কাজ করছি এসডিজি ৩,৫ এবং ৬ নিয়ে। আগে আমারা দেখতাম ৩০-৪০ ভাগ ছাত্রীরা মাসিকের সময় স্কুলে অনুপুস্থিত থাকতো। এখন এ হার আরো অনেক কমে এসেছে।

এস এম গোলাম ফারুক বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে এখন ৩২হাজার ওয়াশব্লক আছে। সরকারের ভিশন হচ্ছে ছেলে-মেয়ে একসাথে এগিয়ে যাবে। সেলক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আর মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরকে নিরাপদ মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সুযোগ করে দিতে হবে। তাই মাসিক পণ্য বিশেষ করে স্যানিটারি প্যাড বাজারে সুলভ করা দরকার যাতে সকল স্তরের নারীরা তা ব্যবহার করতে পারে। এছাড়াও আমাদের একটি কৌশলপত্র তৈরি করতে হবে যাতে মাসিক নিয়ে সর্বস্তরের অংশগ্রহণে কাজ করা যায়।

স্বপন ভট্টচার্য বলেন, সুবিধা বঞ্চিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী তারা ময়লা কাপড় ব্যবহার করে যা আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ঝঁকিপূর্ণ। তাই সুলভ মূল্যে প্যাডের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সকলেই ব্যবহার করতে পারে। বাংলাদেশের ৫০ ভাগ নারী। কাজেই তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে হবে। কারণ যাদি তাদের সুস্বাস্থ্য না থাকে তবে আমরা উন্নত বিশ্ব হিসেবে নিজেদের প্রতষ্ঠিত করতে পরবো না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ