পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা দু’টিই বড় ধর্মীয় উৎসব বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে। কিন্তু এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ায় এই উৎসবে অনাবিল আনন্দ বেশি। এই ঈদের আগে সমাজের অসহায় গরীবদের জন্য বৃত্তবানদের যাকাত, ফেতরা দেয়ায় ধনীগরীব সবার হাতে থাকে টাকার প্রবাহ।
ঈদ উপলক্ষ্যে নতুন জামা-কাপড় পরিধান করা মুসলিম সমাজে রেওয়াজে পরিণত হয়ে গেছে। তাই ঈদকে কেন্দ্র করে মাহে রমজানের প্রথম দিন থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভাগীয়-জেলা-উপজেলা এমনকি গ্রামগঞ্জের হাটবাজারে কেনাকাটা করছে সাধারণ মানুষ। ১৫ রোজার পর এই কেনাকাটার মাত্রা বেড়ে গেছে বহুগুন। শুধু জামা-কাপড় নয়, ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিটি সেক্টরে কর্মব্যস্ত মানুষ। ঈদকে কেন্দ্র করে বস্ত্র, জুতা-কসমেটিক্স, খাদ্য, যাকাত-ফিতরা, দান-খয়রাত, যাতায়াত-যোগাযোগ, ভোগ্যপণ্য, সোনা-ডায়মন্ড, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, ভ্রমণ, স্থায়ী সম্পদ, পবিত্র ওমরা পালন, ফার্নিচার, গাড়ি ও আবাসন খাত প্রতিটি সেক্টরে কেনাবেচা বেশি। কামার-কুমার-জেলে-তাঁতী থেকে শুরু করে সব পেশার মানুষের হাতে ঈদ উপলক্ষ্যে টাকার লেনদেন হচ্ছে। অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে ভাবে মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা ও অন্যত্র লেনদেন হচ্ছে তাতে এবারের ঈদে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা হাতবদল তথা বাণিজ্য হবে।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিপনি বিতান, মার্কেটে কেনাকাটার ধুম পড়ে গেছে। কিছু বিত্তশালী ঈদ উপলক্ষ্যে বিদেশে কেনাকাটা করলে বেশির ভাগ মানুষ দেশের মার্কেটগুলোতেই কেনাকাটা করছে। বিশ্বমানের মার্কেটও রাজধানী ঢাকায় স্থাপিত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকার কেনাকাটা হচ্ছে। ব্যাংকিং সেক্টরের হিসেব মতে ঈদকে সামনে রেখে বাড়তি কেনাকাটায় বাজারে নগদ অর্থের প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে। এতে চাঙ্গা হয়ে উঠছে অর্থনীতি। টাকা উত্তোলন ও ফান্ড স্থানান্তরে ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথে মানুষের ভিড় বাড়ছে। পুরো অর্থব্যবস্থা আবর্তিত হয় এ দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে ঈদের বাজারে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয় বলে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা মনে করেন। দারিদ্র্য হ্রাস, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ফলে ঈদকেন্দ্রিক লেনদেন প্রতি বছর বাড়ছে। ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীরা বিপুল রেমিট্যান্স দেশে পাঠান। ঈদের সময় বৈদেশিক আয়ের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে ওঠে। চাঙ্গা হয়ে ওঠে ব্যাংক খাতও। এ উপলক্ষে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে অন্য সময়ের চেয়ে প্রায় ১০গুণ বেশি লেনদেন হয়। চলতি মাসের মাসের ২৫ দিনেই ১৩৫ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কিন্ত অন্যান্য সময় পুরো মাস শেষে ১৩০ কোটি ডলারের মধ্যেই থাকতে দেখা যায় এই প্রবাহ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মে মাসের ২৫ দিনে ১৩৫ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছে। ১৩৫ কোটি ডলার যোগ করলে চলতি অর্থবছরে মোট রেমিটেন্সের পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ৪৬৫ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। অর্থবছরের বাকি প্রায় ১ মাস , এই সময়ে দেড় বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স আসবে। সে হিসাবেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবার রেমিটেন্স ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ১৭ লাখ (১৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা। যা ছিল ২০১৬-১৭ অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরেও রেমিটেন্স বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। রেমিটেন্স বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়নও (রিজার্ভ) সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মেয়াদের ১২৪ কোটি ১০ লাখ ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পরও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের উপরে অবস্থান করছে মূলতঃ রেমিটেন্স বৃদ্ধির কারণে। বর্তমানে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তাদের পাঠানো অর্থ বাংলাদেশে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মত।
এদিকে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, গতবারের চেয়ে এবারের ঈদে এখন পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, বিকিকিনি তত বাড়বে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। দোকান মালিক সমিতির তথ্যমতে, দেশব্যাপী ২২ লাখ দোকান আছে, যার মালিকরা বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সদস্য। তাদের দৈনিক মোট এক হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়। আর ঈদের আগে বিক্রি প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। তাতে সাড়া দেশে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার দৈনিক বিকিকিনি হয়। এ ছাড়াও টেইলারিং এবং অনলাইনেও প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার কেনাবেচা হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
ঈদে আর্থিক ব্যয়ের কোনো সঠিক চিত্র পাওয়া না গেলেও ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র অনুমানের ভিত্তিতে করা এক তথ্যে জানা গেছে, এবার ঈদ-বাণিজ্যে ৬০ শতাংশ পোশাক, ২০ শতাংশ খাদ্যদ্রব্য এবং বাকি ২০ শতাংশ অন্য পণ্য বিক্রি হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তথ্যে আরও জানা যায়, ঈদ উৎসবে পোশাকসহ সব পরিধেয় খাতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা, জুতা-কসমেটিক্সে তিন হাজার কোটি, যাকাত-ফিতরা ও দান-খয়রাতে ৩৮ হাজার কোটি, যাতায়াত বা যোগাযোগ খাতে ১০ হাজার কোটি, ভোগ্যপণ্যে ৭ হাজার কোটি, সোনা-ডায়মন্ডে ৫ হাজার কোটি, ইলেকট্রনিক্স পণ্যে ৪ হাজার কোটি, ভ্রমণে সাড়ে ৫ হাজার কোটি, স্থায়ী সম্পদ ক্রয় ১ হাজার কোটি, পবিত্র ওমরা পালন ৩ হাজার কোটি ও আইনশৃঙ্খলাসহ অন্য খাতে লেনদেন হয় ১ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ফার্নিচার, গাড়ি ও আবাসন শিল্পে বড় ধরনের কেনাকাটা হয়ে থাকে।
ঈদে চাঙ্গা অর্থনীতি সম্পর্কে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ঈদের সময় দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। শহর থেকে গ্রামমুখী হয় টাকার প্রবাহ। এতে গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙ্গা হয়ে উঠে। এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে যে স্থবিরতা ছিল, সেটা অনেকটা কেটে যাবে। এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, এর ইতিবাচক দিক হলো, এ সময় বণ্টন ব্যবস্থায় একটি পরিবর্তন হয়। এতে অধিকাংশ মানুষের কাছেই টাকা পৌঁছে যায়। আর নেতিবাচক দিক হলো মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটার পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। গত বছরে এই বাজারের আকার ২ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা কম ছিল। এ বাজারের সবচেয়ে বড় অংশজুড়ে কেনাবেচা হয়েছে দেশি পোশাক, কেনাবেচার পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি দেশি ব্র্যান্ডের ফ্যাশন হাউসগুলোর পোশাক বিক্রির পরিমাণ প্রায় তিন হাজার ৬শ’ কোটি টাকা।
এর পরই বেশি বেচাকেনা হয়েছে জুতা, লেডিস ব্যাগ, মানিব্যাগ ও বেল্টসহ চামড়াজাত পণ্য। এসব পণ্যের কেনাবেচার পরিমাণ সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। চামড়াজাত পণ্যের মধ্যে জুতা বিক্রি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ব্র্যান্ডের জুতা বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে ৪০ শতাংশ। পোশাক ও জুতার পাশাপাশি স্বর্ণালঙ্কার ও ইমিটেশন এবং প্রসাধনীর বেচাকেনা বহুগুণ বেড়েছে। ঈদে এসব পণ্যের বিক্রির পরিমাণ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। আর সেমাই, নুডুলস, মসলাসহ বিভিন্ন খাদ্য উপকরণের বাড়তি বেচাকেনার পরিমাণও এক হাজার কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া ঈদে ফার্নিচার, মোবাইল ফোন, টেলিভিশন ও গাড়িসহ বিভিন্ন শৌখিন ও বিলাসবহুল পণ্যের কেনাবেচাও অনেক বেশি হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, নারীদের গহনা ও প্রসাধনীর বেচাকেনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এবার গহনা ও প্রসাধনীর বাজারে বিক্রির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোন, গাড়ি ও ফর্নিচারসহ বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনাও বেড়েছে। এবার ঈদের বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে বিশ্বকাপ ফুটবল। এ কারণে টেলিভিশন বিক্রি বেড়েছে। জার্সি বিক্রিও বেড়েছে বিপুল।
দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফ্যাশন উদ্যোক্তা সমিতির সভাপতি আজহারুল হক বলেন, এবার ঈদের শুরুতে বিক্রি ভালো হলেও শেষ ভাগে প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি। এবার টার্গেট ছিল চার হাজার কোটি টাকার পোশাক বিক্রির। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর কিছুটা বিক্রি কমেছে। বাজেটের পরদিন গেজেট প্রকাশ করে এক শতাংশ ভ্যাট বাড়ানোয় ক্রেতাদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এ কারণে গতবারের চেয়ে ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রি মাত্র ১শ’ কোটি টাকা বেড়ে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা হয়েছে। তিনি বলেন, বাজারে ভারতীয় পোশাকে কোনো চমক নেই। তবে এখনও ভারত ও পাকিস্তানি পোশাক আসা থামেনি। চটকদার নামের পোশাকের প্রতি আগ্রহ কমলে আমদানিনির্ভরতা কমবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা রয়েছে ৯৫০ জন। এর বাইরেও অনেক ই-কমার্স সাইট রয়েছে। এ ছাড়াও ফেসবুক পেজ রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। এসব সাইটগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের মার্কেটিং নিয়ে এবারের ঈদ বাজার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আবদুল ওয়াহেদ তমাল জানান, এবারের ঈদ উপলক্ষে অনলাইনভিত্তিক বাজার বেশ চাঙ্গা। ঈদকেন্দ্রিক এই ই-কমার্স রাজধানী ছাড়িয়ে জেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ই-কমার্স এ বার্ষিক লেনদেনের আর্থিক আকার শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে হাজার কোটি টাকায় রূপ নিয়েছে। আগামী ৩ বা ৪ বছরের মধ্যে এ আকার ১০ হাজার কেটি টাকায় পরিণত হবে ।
এদিকে প্রতিবছর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও ১৮ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিলসহ সব শাখা অফিস এবং ২৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৩০টি শাখায় নতুন নোট বিনিময়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গেল ২২ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত নতুন নোট বিনিময়ের এ কার্যক্রম চলবে।
এছাড়াও ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষের সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বেগবান হচ্ছে, আর পর্যটন শিল্প তারই অংশ। ঈদে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণের জায়গায় রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের নানা কর্মসূচি। পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রতি ঈদে প্রায় দুই থেকে তিন লাখ পর্যটক ভ্রমণ করে কক্সবাজার। অন্য দিকে, সারা বছর কক্সবাজার ভ্রমণে আসে মোট ১৫ থেকে ২০ লাখ পর্যটক। এই সময় সব হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট পর্যটকে থাকে পরিপূর্ণ। পার্বত্য তিন জেলা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির সবুজঘেরা পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে ঢল নামে মানুষের। সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ধর্মীয় স্থাপনা এবং সবুজ চা-বাগান পর্যটকদের বারবার আকর্ষণ করে। তা ছাড়া কুয়াকাটা, খুলনা এবং কুমিল্লাসহ দেশের অন্যান্য জেলার দর্শনীয় স্থানে ঈদে পর্যটকের উপস্থিতি অনেক বেড়ে যায়। ঢাকার আশপাশে বিশেষ করে গাজীপুরে ব্যাপকহারে রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পার্ক ও অ্যামিউজমেন্ট পার্কে পর্যটকের উপস্থিতি কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।