Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

সারাদেশে জমে উঠেছে ঈদবাজার

অভ্যন্তরীণ ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

সপ্তাহ পেরোলেই উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফেতর। এই উপলক্ষে সারাদেশে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। মার্কেট আর শপিংমলগুলো বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-

কুমিল্লায় ঈদ ফ্যাশনে নজরকাড়া পাঞ্জাবি
কুমিল্লা থেকে সাদিক মামুন জানান, বর্ণময় রঙ, কারুকাজ ও অসাধারণ ফ্যাশনে পাঞ্জাবি এখন সব বয়সীদের পছন্দের সেরা তালিকায়। ঈদের কেনাকাটায় শার্ট প্যান্ট, টি-শার্ট যা-ই থাকুক না কেনো চাই পাঞ্জাবি। বর্তমানে দেশিয় ফ্যাশন হাউজের প্রায় ২০টি শো-রুম কুমিল্লা নগরীতে স্থান করে নিয়েছে। এবারের ঈদে এসব ফ্যাশন হাউজের নিজস্ব ডিজাইনের পাঞ্জাবির ভিড়েও বিভিন্ন শপিংমলের পোশাকের দোকান ও শপিংমলের বাইরে নগরীতে তিনশতাধিক পাঞ্জাবির দোকান গড়ে উঠেছে। ঈদের সময় যতো ঘনিয়ে আসছে নজরকাড়া পাঞ্জাবির বেচাকেনা জমে উঠেছে।
কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর ও পূবালী চত্বর হয়ে লাকসাম সড়ক, কান্দিরপাড়, মনোহরপুর, রাজগঞ্জ, কাপড়িয়াপট্টি, পুলিশ লাইন, রেইসকোর্স এলাকার দোকানগুলোতে থরেথরে সাজানো পাঞ্জাবি আর পাঞ্জাবি। আবার ফ্যাশন হাউজগুলোতে বিভিন্ন ডিজাইনের কারুকাজ মিশ্রিত পাঞ্জাবি যেমন ক্রেতাদের দৃষ্টি কাড়ছে তেমনি মার্কেটের দোকানগুলোতে স্থান পাওয়া ঢাকাই পাঞ্জাবির কদরও কম নয় ক্রেতার কাছে। দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এবারের ঈদে দেশিয় ও ভারতীয় হালফ্যাশনের পাঞ্জাবির জমজমাট বিক্রি শুরু হয়েছে। নগরীর পাঞ্জাবির দোকান, বিভিন্ন ফ্যাশন হাইজের শো-রুম ও শপিংমলের পোষাকঘর ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকটন, এন্ডি সিল্ক, এন্ডি কটন, রাজশাহি সিল্ক, সেঞ্চুরী কটন, আদি এবং বাহারি কাজের শেরওয়ানি, দেশিয় ব্র্র্যান্ডের নজরকাড়া পাঞ্জাবি এবারের ঈদের বাজারে স্থান পেয়েছে। ক্রেতারা বেশ আত্মতৃপ্তির সঙ্গে নিজের জন্য ছাড়াও সন্তান, বাবা, চাচা, দাদা, নানা, শ্বশুরের কিংবা স্বজনের জন্যও পাঞ্জাবি কিনছেন। আবার পাঞ্জাবি পছন্দের জায়গায় স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীরাও যোগ দিচ্ছেন দোকানের ডিসপ্লেতে। ঈদের সময় যতোই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের মাঝে পাঞ্জাবি কেনার আগ্রহ বাড়ছে।
নগরীর মনোহরপুরে গণি ভূঞা ম্যানসনে তোহা পাঞ্জাবি স্টোরের মালিক হাফেজ মাওলানা মো. আমিনুল্লাহ জানান, ঈদের কেনাকাটায় এখন পাঞ্জাবি ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। এবারের ঈদেও তরুণ-যুবকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে উন্নতমানের কাপড়ের নান্দনিক কাজের লং ও সেমিলং পাঞ্জাবি। বয়স্করা সাদা, অফহোয়াইট রংয়ের প্রতি বেশি ঝুঁকছেন। এবারে সাদা পাঞ্জাবিতেও সাদা কারুকাজ আনা হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়ায় সরগরম ঈদ মার্কেট
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সংবাদদাতা জানান, রাঙ্গুনিয়ায় ঈদের বাজার জমে উঠছে। সব শ্রেণীর ক্রেতার আগমনে সরগরম হয়ে উঠছে মার্কেটগুলো। উপজেলার অধিকাংশ মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। দর্জির দোকানে দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছে না কারিগররা। বিপনণ কেন্দ্র থেকে শুরু করে অলিগলি সর্বত্র। সেলাই করা ফিটিংস পোশাক ছাড়া যাদের ঈদের খুশি ষোলআনা পূর্ণ হয় না তাদের ভিড়টা বেশি সেখানে। কেউ কাপড় সেলাইতে আসছেন, আবার কেউ পছন্দের পোশাকটি ছাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।
উত্তর চট্টগ্রামের উপ-শহর খ্যাত চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার, লিচুবাগান, ফেরীঘাট রোডের আল ইমারত মার্কেট, চৌমুহনী, রোয়াজারহাট, সরফভাটা ক্ষেত্র বাজার, কোদালা বাজার, গোপালপুরা, শিলক ব্যৃহচক্রহাট, নারিশ্চা বাজার, পদুয়া রাজারহাট, দশমাইল মুক্তিযোদ্ধা বাজার, গোছরা বাজার, শান্তির হাট, মাল্যের হাট, শান্তি নিকেতন, মোগলের হাট, পারুয়া শাহাব্দিনগর, ধামাইরহাট বাজার, রাজারহাট, রানীরহাট বাজার, নিশ্চিন্তাপুর জীপ ষ্ঠেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আদমদীঘিতে জমজমাট কেনাকাট
আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদর ও সান্তাহার শহরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। রমজানের প্রথম সপ্তাহে দোকানে তেমন কোন বেঁচাকেনা না হলেও রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহে পর জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সকাল থেকে অধৈক রাত পর্যন্ত ক্রেতারা কেনাকাটা করছে। শহরের সদর পথ সোনার বাংলা মার্কেট সোহাগ র্মাকেট মতি মার্কেট উপহার মার্কেটসহ শহরের সবগুলো মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভির লক্ষ করাগাছে। বিশেষ করে এসব মার্কেটগুলোতে নারী ক্রেতাদের সংখ্যা বেশী। এবার ঈদকে সামনে রেখে ছেলেদের খান্দনী মুকুট মসলিম ও কালেকশান পাঞ্জাবি ছোট বাচ্চাদের বাহুবলি ২ কাটাপ্পা, কোটিসেট মেয়েদের দেশি বিদেশি থ্রিপিস ঢাকার মীরপুরী জামদানী টাঙ্গাইলের বালুচুরি সাউথ কাতান রেশমসিøক, আরংঙ্গ শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে স্থানীয় দোকানীরা জানান। শহরের সদর পথের তালুকদার বস্ত্রালয়ের মালিক কবির হোসেন জানান, দোকানে ক্রেতাদের ভির আছে কিন্ত প্রত্যাশিত বেচাকেনা নেই। গত বছরের চেয়ে এবার বেচাঁকেনা কিছুটা কম মনেহচ্ছে। কারন হিসাবে তিনি জানান, বলেন বাজারে ধানের দাম কমের প্রভাব পরেছে ঈদ মার্কেটে। তবে আরো কয়েকদিন বাঁকী রয়েছে পরের দিনগুলোতে বেচাকেনা বারবে বলে আশা করছি। স্বজল মার্কেটের গোলাম মোস্তফা, সোনার বাংলা মার্কেটের নিজাম দেওয়ান বলেন বেচাঁকেনার গতি বেশ ভালো যেভাবে চলছে এভাবে চললে গত বছরের চেয়ে এবার ব্যাবসা ভালো হবে। স্বজল মার্কেটে কেনাকাট নিয়ে কথা হয় সান্তাহার পৌর এলাকার কৃষক শফির আলী ও তার স্ত্রী কবিতার সাথে শফির ও তার স্ত্রী বলেন বাবা-মা ছেলে মেয়েসহ পরিবারের সাবার জন্য কেনাকাটা করছি। এবার কোন সমস্যা হচ্ছেনা তবে এবার ধানের মূল্য বেশি হলে আরোও একটু ভাল হতো। ১২ শো টাকার ধান এবার ৬ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে। শহরের রেলগেটের মতিন মার্কেটের মতিন বাজারের মালিক মতি মিয়া গত কয়েক দিনের চেয়ে এখন বেচাকেনা বেরেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ