পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশের সড়ক ও রেল পথসহ সর্বত্র চরম নৈরাজ্য-লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, প্রতি ঈদের আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় এবারের ঈদে দুর্ভোগ হবে না। এবার এজন্য নাকি নতুন একটি ট্রেন উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা কি দেখতে পাচ্ছি, সাধারণ যাত্রীরা টিকিট কেনার আগেই অর্ধেক টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। চরম নৈরাজ্য চলছে। সর্বক্ষেত্রে লুটপাট চলছে। কোনও জবাবদিহিতা নেই। কে কার কথা শুনবে? কোথাও কোনও মা-বাবা তো নেই। কারণ বর্তমানে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই।
গতকাল (রোববার) রাজধানীর বিজয়নগরে হোটেল অরনেটে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে সেই দল যে দল ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। আজকে সেই বাকশালকে আবার প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে তারা। সব সময় শুধু সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে। কোন সংবিধান, এটা কি ’৭২ সালের সংবিধান? সরকার একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলে অন্যদিকে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। একদিকে সংবিধানের কথা বলে আবার তারাই সংবিধান ভঙ্গ করে। যেমনভাবে সংবিধান ভঙ্গ করে দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে আটক রাখা হয়েছে। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে আদালত, সেখানেও মানুষ এখন আর ভরসা রাখতে পারছেন না। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়- আদালতেও আজ দলীয় ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই মাস সব দিক দিয়ে কষ্টের মাস। সবসময় আমরা পালন করি সিয়ামের মধ্য দিয়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, গত এক যুগ ধরে আমাদেরকে আরও বেশি পরীক্ষার মুখে থাকতে হচ্ছে। কখনও আমাদের থাকতে হচ্ছে জেলখানায়, কখনোবা তার চেয়ে কষ্টের জায়গায়। এমন একটি নির্বাচন হয়ে গেল যে নির্বাচন সমস্ত আশাকে ধুলিস্মাৎ করে দিয়েছে। অবৈধভাবে আগের রাতে ভোট চুরি করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সরকার বন্দুকের জোরে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। গণতন্ত্রের নাম করে জনগণের ওপর চেপে বসেছে।
গুম, খুনের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই ধরনের নির্যাতনের ঘটনার সাথে বাংলাদেশের মানুষের আগে কোনও পরিচয় ছিল না। তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দেশনেত্রী মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করছেন। আপস করেননি বলে তিনি এখনও কারাগারে আছেন। গণতন্ত্রের সাথে তিনি ওৎপোতভাবে জড়িত। জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হালিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমূখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।