বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নির্বাচনে ত্রুটি থাকলে তারা নির্বাচিত প্রতিনিধি দাবি করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করে দেশে ‘নির্ভেজাল গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন। নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ইফতার মহফিলে তিনি এই আহবান জানান। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে এই ইফতার হয়।
ড. কামাল বলেন, আমি বলব, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। সংবিধানকে সমুন্নত রেখে সংবিধানের প্রতিশ্রুতি নির্ভেজাল গণতন্ত্র, কার্যকর গণতন্ত্র, মানুষের মৌলিক অধিকার- এসব আমরা নিশ্চিত কবর সেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে। ইনশাল্লাহ আমরা এটা করবো।
তিনি বলেন, দেশ পরিচালিত হবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। স্বাধীন দেশ শাসন করবে যারা অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংখ্যাগরিষ্টতা লাভ করবে তারাই কিন্তু সংবিধান সমুন্নত রাখার দায়িত্ব পালন করবে। সংবিধানে যে প্রতিশ্রুতিগুলো আছে তা পালন করার তাদের দায়িত্ব আছে, কর্তব্য আছে।
ড. কামাল হোসেন বলেন. আমরা চাই, সংবিধান অনুযায়ী দেশ শাসন হোক, সংবিধান অনুযায়ী প্রকৃত অর্থে দেশে গণতন্ত্র থাকুক। আমরা নাগরিক হিসেবে যে স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হলে, স্বাধীনতার ফসল যদি ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হয় তখন জনগনের ঐক্য অপরিহার্য।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে যারা সরকারে বসে আছে জোর করে ক্ষমতায় দখল করে তারা কেউ বাংলাদেশের জনগনের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। তারা সুপরিকল্পিভাবে বাংলাদেশের সংবিধানকে কেটে তছনছ করে দিয়েছে, মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। গণতন্ত্রের মূল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার দেশে লুটপাটের অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করেছে। কোথাও শান্তি নেই, সর্বত্র সংকট। এ থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। ভুলগুলো ঝেড়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি। যে স্বৈরতন্ত্র ক্ষমতায় বসে আছে তা হাটতে হলে আমাদের এক থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কেউ কাউকে পছন্দ করেন, অপছন্দ করেন তারপরেও সকলে এক থাকতে হবে, একত্রে লড়াই করতে হবে। আজকের দিনে এটাই আমাদের শপথ হোক। সরকার যত চালাক হোক, আমরা তার চাইতে অনেক বেশি বুদ্ধিমান, অনেক বেশি কৌশলী।
কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়কারী শহিদুল্লাহ চৌধুরীর পরিচালনায় ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত এই আলোচনা সভায় গণফোরামের মোস্তফা মহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আবদুস সালাম, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাবিবুর রহমান তালুকদার, বিকল্পধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এই ইফতারে গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মাবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, পরিবেশ সংগঠন বেলা’র রেজওয়ানা হাসান চৌধুরী, গণফোরামের ড. রেজা কিবরিয়া, মহসিন রশিদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, আমিন আফসারী, রফিকুল ইসলাম পথিক, বিএনপির শামা ওবায়েদ, শায়রুল কবির খান, জেএসডির শহিদউদ্দিন মাহমুদ, নাগরিক ঐক্যের এসএম আকবর, বিকল্পধারার শাহ আহমেদ বাদল, গণদলের গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মিলু চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান, জাগপার আসাদুর রহমান খান প্রমূখ নেতারা অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।