পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম-শতবার্ষিকী উদযাপনকে ঘিরে জাতীয় সংসদ থেকে মেগাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে প্রথমবারের মতো শুধুমাত্র জাতির জনকের জীবন ও কর্মসহ নানা দিক নিয়ে আলোচনা করতে বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের মাধ্যমে বিরল দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে।
বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি চালাতে করণীয় নির্ধারনে এরইমধ্যে জাতীয় সংসদের সব সংসদীয় কমিটির সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে তিনটি সাব-কমিটি। প্রাথমিকভাবে সংসদ চত্ত¡রে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ তৈরীর বিষয়টি চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে। এই মঞ্চে শুধু এমপিরা নন, বঙ্গবন্ধু প্রাণ যে কেউ বাংলাদেশের অবিসংবাধিত এই নেতার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাবেন। সংসদ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মুজিব বর্ষ উদযাপনের জন্য চমকপ্রদ নানা কর্মসূচির কথা ভাবছে জাতীয় সংসদ। এ নিয়ে শতাধিক খসড়া প্রস্তাবনাও তৈরি করা হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে। এরইমধ্যে সব মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে তিনটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রকাশনা বিষয়ক দুটি উপ-কমিটি কাজ শুরু করেছে। আরেকটি আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি বিদেশী অতিথিদের নির্বাচন ও তাদের আমন্ত্রণ, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। প্রায় সব এমপিকে সম্পৃক্ত করা হবে মুজিব বর্ষ পালনের কর্মসূচিতে। তাদের সঙ্গে থাকবেন সংসদ সচিবালয়ের ১২শ কর্মকর্তা ও কর্মচারি। কর্মসূচি পালনে সংসদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে তৈরি করা হবে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ। বছরব্যাপী ওই মঞ্চে থাকবে নানা আয়োজন। ডাকা হবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সেখানে উপস্থিত থাকবেন বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিরা। দেশী-বিদেশী অতিথিদের অংশগ্রহণে থাকবে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষ থেকে বিশ্বের সব দেশের পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে পাঠানো হবে বিশেষ উপহার প্যাকেট। প্যাকেটে থাকবে বঙ্গবন্ধুর আÍজীবনীর ইংরেজী ভার্সন, প্রকাশনা, ব্রুসিয়ার, মেমোরিয়াল কয়েন।
জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনকে প্রসঙ্গে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, জাতির পিতার জন্ম-শতবার্ষিকী অনেক বড় বিষয়। আমরা যে এই সময়টা সেলিব্রেট করতে পারছি সেটাও কিন্তু একটি ঐতিহাসিক ব্যপার। আমরা প্রত্যেকে একটি ইতিহাসের অংশ হবো। আমরা তো আর কেউ চিরকাল থাকবো না। আগামীতে আরও অনেক প্রজন্ম আসবে। এটি আমাদের জন্য একটি মাইলস্টোন হিসেবে থাকবে। এ সুযোগ পাওয়াটা অনেক বিরল বিষয়।
স্পিকার বলেন, সংসদের পক্ষ থেকে আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মর কাছে একটি বার্তা দিতে চাই যে, যার জন্য আমাদের এই দেশ, যার জন্য আমাদের এই সংসদ, যার জন্য আমরা আজকে সারাবিশ্বে মাথাউঁচু করে স্বাধীন জাতি হিসেবে দাঁড়াতে পারি, যাকে ঘিরে সারাবিশ্বে আমাদের আÍপরিচয়, বাঙালি হিসেবে আÍপরিচয় এজন্য তার জীবনকে, জন্মকে আমরা সেলিব্রেট করবো। প্র্রত্যেকের একটি বিষয়বস্তু আছে। পার্লামেন্টেরও একটা বড় বিষয়বস্তু আছে। যেমন-গণতন্ত্র, সংবিধান প্রণয়ন, দেশকে এগিয়ে নেয়া, উন্নয়ন সবকিছু। গণপরিষদ, সংবিধান প্রণয়ন থেকে শুরু করে জাতির পিতার কাজগুলো সেগুলো আমরা ফোকাস করবো। স্পিকার বলেন, পুরো বছরব্যপী অনুষ্টানসূচি সাজানো হবে। বেশকিছু সেমিনার, ওয়ার্কশপ থাকবে বঙ্গবন্ধুর ওপরে। সেখানে হয়তো বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টারিয়ান, স্পিকারসহ কাদের আনা যায় সেটা চ‚ড়ান্ত করা হবে। অনেক প্রস্তবের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ করার প্রস্তাব। বছরব্যপী ওই মঞ্চ রাখা হবে। সেখানে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান চলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।