রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের বিরামপুর-নবাবগঞ্জ-ঘোড়াঘাট অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো ধান আবাদ করে মহাবিপদে পড়েছেন। ধানের দাম নেই এবং কেনারও লোক নেই। অথচ বাজারে খাওয়ার চালের দাম বেশী। এদিকে ধান কাটা শুরু হওয়ার সার কিটনাশক ও সেচের পাওনাদাররা ঘরের কোড়া নাড়ছে টাকার জন্য। এক কথায় বোরো ধান এখন গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে! ধানের দাম নেই কে শুনে কার কথা। সরকার ধানের দর বেঁধে দিয়েছে কাগজ কলমে। কিন্তু সরকারের এই দাম কৃষকদের ভাগ্যে জুটছে না। বড় বড় মিলার ও ক্ষমতাশালীরা সরকারি গুদামে ধান চাল দেয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। তাই কৃষকের ধান বাজারেই পড়ে থাকছে। আর তা না হলে পানির দামে বিক্রি করে সর্বশান্ত হতে হচ্ছে।
কৃষি নির্ভর এই অঞ্চলের মানুষের একমাত্র জীবিকা জমির ফসল। বছরের প্রধান দুটি ফসলের মধ্যে আমন হচ্ছে একটি। এই আমন ধান দিয়েই বছরের খাদ্য চাহিদা পূরন করে থাকে কৃষকেরা। কিন্তু এখন এই ধান কেনার কেউ নেই। কৃষক হাট-বাজারে ধান নিয়ে গিয়ে ধান বিক্রি করতে পারছে না। আড়ৎদারদের অজুহাত ধানের দাম নেই, বড় বড় মিল মালিকেরা ধান কিনছে না। নিজে কিনে কাকে দেব? বর্তমানে প্রতি মন ধান ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫ শ’ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। যা উৎপাদন খরচের চেয়েও কম। ফলে কৃষকেরা তাদের নিজের পরিবারের খরচ মেটানো দূরের কথা জমি থেকে ধান বাসায় এনে কাটা মারা করতে কৃষানীদের মজুরি মেটানোর পথ খুজে পাচ্ছে না।
ধান এখন দেশ ও বিদেশের প্রধান খবর। কৃষক থেকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ধান ছিটিয়ে প্রতিবাদ করছে। কারো কিছু করার নেই। এ অবস্থা থেকে বের হতে না পারলে কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষন করা না গেলে সোনার বাংলার সোনার ফসল ফলাতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে কৃষকেরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।