বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নতুন তথ্য-প্রযুক্তি জীবনকে যেমন সহজ ও সুন্দর করেছে তেমন জীবনযাত্রার মানও পরিবর্তন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। বিজ্ঞানের কাজ নতুন কিছু আবিস্কার করা। ব্যতিক্রম ঘটেনি ধূমপানের ক্ষেত্রেও। বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে বের করতে চেষ্টা করেছেন কিভাবে ধূমপান থেকে মানুষকে ফিরিয়ে আনা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে কিংবা সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের জন্য বাজারে এসেছে ই-সিগারেট, যার মধ্যে অন্যতম ভেপ।
রশীদ হোসেন (৩২) চাকরি করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করেন তিনি। বিভিন্ন সময় ধূমপান ছাড়তে চেষ্টা করলেও কোন লাভ হয়নি। অবশেষে বন্ধু রাশেদ তাকে পরামর্শ দেয় ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেট ব্যবহার করার। বন্ধুর পরামর্শে সিগারেটের পাশাপাশি ই-সিগারেট ব্যবহার করা শুরু করেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে কমিয়ে আনেন সিগারেটের ব্যবহার। প্রায় ৬-৭ মাস পর সিগারেট ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি ই-সিগারেট ব্যবহার করা শুরু করেন রশীদ হোসেন। তিনি বলেন, ই-সিগারেট ব্যবহার করে আমি আমার ধূমপানের মাত্রা আগের তুলনায় অনেক কমিয়ে এনেছি। তাই আমি বলবো যারা ধূমপান ছাড়াতে চান তাদের জন্য ই-সিগারেট একটি উত্তম সমাধান হতে পারে।
আধুনিক বিশ্বে ধূমপান ছাড়তে অনেকই ঝুঁকছেন প্রযুক্তি পণ্য ই-সিগারেটে। আমাদের দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত করার লক্ষ্যও রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। কেউ হয়তো কখনো চিন্তাই করেনি এই দুইটি বিষয় এসে মিলিত হতে পারে একই বিন্দুতে। অর্থাৎ তামাক মুক্ত দেশের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে ই-সিগারেট এমনটাই ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথকেয়ার সার্ভিসের (এনএইচএস) তথ্যমতে, ই-সিগারেট প্রচলিত সিগারেটের চেয়ে প্রায় ৯৫ শতাংশ বেশি নিরাপদ কারণ এতে তামাক পোড়ানো হয় না বরং শুধুমাত্র নিকোটিনকে তাপের মাধ্যমে বাষ্পীভূত করে ধোঁয়ার সৃষ্টি করা হয়। সাধারণ সিগারেটে তামাক পোড়ানো হয় বলে ‘টার’সহ অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ নির্গত হয়। এমনকি ই-সিগারেট পরোক্ষভাবে কোন ক্ষতি করে না।
যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্নেস্ট এন্ড ইয়ং ২০১৬ সালে প্রায় তিন হাজার ই-সিগারেট ব্যবহারকারীর উপর একটি জরিপ চালায়। সেই জরিপে দেখা যায়, ই-সিগারেটের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হচ্ছে-এটি প্রচলিত ধূমপানের চেয়ে কম ক্ষতিকর এবং ধূমপান ছাড়তে সহায়তা করে।
আমাদের দেশে এ বিষয়ে তেমন কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও সিগারেট ছাড়তে অনেকেই ই-সিগারেটের দিকে ঝুঁকছেন। সম্প্রতি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্বপাশে আড্ডা দিতে দেখা যায় চার
বন্ধুকে। তাদের দুইজনের হাতেই ই-সিগারেট। ই-সিগারেট কেন ব্যবহার করেন জানতে চাইলে তারা বলেন, ভেপিং তো বর্তমানে খুব জনপ্রিয় একটি ট্রেন্ড, তাই আমাদের বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই এটা ব্যবহার করছে। তাছাড়া সিগারেটের তুলনায় অনেকাংশেই নিরাপদ এই ই-সিগারেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।