Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আর নয় নতুন গ্যাস সংযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

আবাসিক, সিএনজি ও বাণিজ্যিকে নতুন করে আর কোনও গ্যাস সংযোগ দেবে না সরকার। গত ২১ মে জ্বালানি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত জারি করে বৃহস্পতিবার সকল কোম্পানির দফতরে পৌঁছানো হয়েছে। আদেশে শিল্প মালিকদের গ্যাস সংযোগ সহজ করতে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি বাতিল করেছে সরকার। একইসঙ্গে শিল্প মালিকদের গ্রিডের বিদ্যুৎতে অভ্যন্ত করতে ক্যাপটিভ সংযোগকে নিরুৎসাহিত করার কথাও বলা হয়েছে।
উপসচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে নতুন গ্যাস সংযোগের জন্য যে কমিটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। এখন থেকে স্ব স্ব কোম্পানির বোর্ড গ্যাসের প্রাপ্যতা অনুযায়ী শিল্পে নতুন গ্যাস-সংযোগ দেবে। একইসঙ্গে তারা গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লোডও বাড়াবে। তবে সেক্ষেত্রে কিছু নিদের্শনা মেনে চলতে হবে।
আদেশে আরো বলা হয়, নতুন গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে শিল্প, বিদ্যুৎ ও সার কারখানাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা বাড়া এবং ক্যাপটিভ পাওয়ারে উৎপাদন দক্ষতা কম থাকায় ক্যাপটিভ শ্রেণিতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া নিরুৎনাহিত করতে হবে। ভবিষ্যতে সিএনজি, গৃহস্থালী ও বাণিজ্যিক শ্রেণিতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া আগের মতো স্থগিত রাখতে হবে। তবে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কারাগার এই নির্দেশনার আওতাবহির্ভূত থাকবে। সব বিতরণ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির গ্যাস প্রাপ্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লোড বৃদ্ধি এবং নতুন সংযোগের আবেদন নিষ্পত্তি করবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর গ্যাস সংযোগের উদ্দেশ্যে পাইপ লাইন স্থাপনসহ অন্য কার্যক্রম অগ্রাধিকার পাবে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই এই কমিটির বিষয়ে নানা দিক থেকে অভিযোগ আসছিল। আমি বলছি না, কমিটি কোনও দুর্নীতি করেছে। কিন্তু কমিটির গ্যাস সংযোগ দেওয়ার ধীরগতির সুযোগ নিয়ে অনেকেই দুর্নীতি করেছে। তিনি বলেন, এতে শিল্প কারখানার কাজ প্রায় থেমেই গিয়েছিল। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে শেষ পর্যন্ত বোঝাতে সক্ষম হয়েছি, এই ধরনের কমিটির কারণে আমাদের বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে, এতে কর্মসংস্থানও কমছে।তাই সংযোগ প্রক্রিয়া দ্রুত করা প্রয়োজন।
মন্ত্রণালয় জানা গেছে, দীর্ঘ চার বছর এই কমিটির মাধ্যমে শিল্পে গ্যাস সংযোগ নিয়ন্ত্রিত ছিল।এতে গ্যাস সংযোগ প্রক্রিয়া ধীর হওয়ায় নতুন শিল্পকারখানা চালু হয়েছে খুবই কম। এতে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ বাধা গ্রস্ত হচ্ছিল। অনেক শিল্প মালিকের আবেদন জমে গিয়েছিল। তাদের বিনিয়োগও আটকে গিয়েছিল। তিতাস গ্যাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকার যা চাইবে আমরা সেভাবেই কাজ করবো।এর আগে থেকে সরকার আবাসিকে গ্যাস না দেওয়ার জন্য মৌখিক আদেশ দিয়েছিল। কিন্তু লিখিত কোনও আদেশ কখনও দেয়নি। এবারই প্রথম লিখিত আদেশ এলো।
২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গ্যাস সংকটের কথা বলে আবাসিক সংযোগ বন্ধ কওে দেয়। এরপর ২০১৩ সালের শেষের দিকে আবার আবাসিক সংযোগ চালু করে। কিন্তু ওই নির্বাচনের পর আবার অলিখিতভাবে জ্বালানি বিভাগ থেকে বিতরণ কোম্পানিকে আবাসিকে নতুন আবেদন নিতে নিষেধ কওে দেওয়া হয়। তবে এবার লিখিতভাবে আবাসিকে সংযোগ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ