পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দ্বিতীয় দিনে অগ্রিম টিকিটের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার কমলাপুরে ছির উপচে পড়া ভিড়। আগের রাত থেকে শত শত মানুষ টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে তাদের বেশিরভাগই টিকিট পেয়ে খুশি। টিকিট প্রত্যাশিরা জানান, দেরিতে হলেও তারা নিরাশ হননি। অন্যদিকে, রেলের অ্যাপের উপর যারা ভরসা করে ছিলেন তারা শতভাগ নিরাশ হয়ে বাধ্য হয়ে কমলাপুরে এসেছেন টিকিট সংগ্রহ করতে। জানা গেছে, অনলাইনে রেলের নির্ধারিত ১১ হাজার টিকিটের জন্য প্রতিদিন চেষ্টা করেন ২ লাখ যাত্রী। এর মধ্যে মাত্র ৫ ভাগ টিকিট কাটতে সক্ষম হলেও ৯৫ ভাগ যাত্রীই ব্যর্থ হন। আর একসাথে এত চাপ নিতে না পারায় অ্যাপ পেইজ ঠিকমতো লোড হয় না, ইন্টারফেজ কাজ করে না। রেলের অনলাইন টিকিট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান সিএনএস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অন্যদিকে, এবারই প্রথম ভিআইপিদের ডিও লেটারে টিকিট দেয়া বন্ধ করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নিজে ভ্রমণ না করলে ভিআইপি কোনো যাত্রীকে টিকিট দেয়া হবে না। শুধু তাই নয়, রেলমন্ত্রী তার নিজের মেয়েকেও টিকিট দেননি। গত বুধবার তিনি নিজে লাইনে দাঁড়িয়ে মেয়ের জন্য টিকিট কেটেছেন। এদিকে, দেশের উত্তরাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিটের জন্য ব্যাপক ভিড় হলেও অন্যান্য এলাকার টিকিটের জন্য ততোটা ভিড় নেই। রাজধানীর ফুলবাড়ীয়া পুরাতন রেল ভবনের ক্যাশ ইনচার্জ আফজালুর রহমান জানান, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যেই লাইনে থাকা যাত্রীরা টিকিট নিয়ে ফিরে গেছেন। খুব স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রীরা ঈদযাত্রার টিকিট পাচ্ছেন। তিনি বলেন, এবার ঈদ যাত্রায় কমলাপুর ছাড়াও আর চারটি স্থান থেকে অগ্রিম টিকিটের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। সেসব স্থানের একটি হলো আমাদের ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশন। কিন্তু কমলাপুরে যেভাবে যাত্রীদের ভিড় সে রকম ভিড় এখানে নেই।
এবার ঈদ যাত্রায় রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, পঞ্চগড়, চিলাহাটি, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ ও ঈশ্বরদীসহ রেলের পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট দেয়া হচ্ছে কমলাপুর স্টেশন থেকে। চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী ট্রেনর টিকিট দেয়া হচ্ছে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে। ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেয়া হচ্ছে তেজগাঁও রেল স্টেশন থেকে। নেত্রকোনাগামী ট্রেনের টিকিট বনানী স্টেশন এবং সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সকল ট্রেনের টিকিট দেয়া হচ্ছে ফুলবাড়িয়া রেল স্টেশন থেকে।
অনলাইনে টিকিট কাটতে ব্যর্থ ৯৫ ভাগ যাত্রী
এদিকে, অনলাইনে টিকিট কাটতে গিয়ে ৯৫ ভাগ যাত্রী অ্যাপে ঢুকে হয়রানির শিকার হন। ইন্টারফেস কাজ না করা, পেইজ লোড না হওয়া, টাকা কেটে নিলেও টিকিট না দেওয়া সহ নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন যাত্রীরা।
সিএনএসবিডি থেকে গত ২১ ও ২২ মে টিকিট বিক্রির পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, ৩০ মে তারিখের মোট টিকিট ছিল ৩১ হাজার ৪২০টি। এর মধ্যে কাউন্টারে ছিল ২০ হাজার ২৭০টি। যা মোট টিকিটের ৬৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। এই টিকিটের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ৭০৫ টি। যা ৪৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর অনলাইনে ছিল ১১ হাজার ১৫০টি টিকিট। যা মোট টিকিটের ৩৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ টিকিটের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৮ হাজার ৭৩৯ টি অথাৎ ৭৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
এ হিসেবে ৩০ মে তারিখের মোট টিকিট ছিল ৩১ হাজার ৪২০টি টিকিটের মধ্যে কাউন্টার এবং অনলাইন মিলিয়ে বিক্রি করা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৬টি টিকিট। ঈদ টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিন দেওয়া হয়েছিল ৩১ মে তারিখের টিকিট। সিএনএসবিডি থেকে ওইদিনের টিকিট বিক্রির পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, এদিনও ৩১ হাজার ৪২০টি টিকিটের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১৬ হাজার ৯২০ টি টিকিট।এদিন কাউন্টারে ছিল ১৯ হাজার ৮৯৭ টি টিকিট। যার মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ২৫০টি টিকিট। অনলাইনে ছিল ১১ হাজার ৫২৩টি টিকিট। যার মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ৮৫২ টি টিকিট।
হিসেবে করে দেখা গেছে, ৩০ ও ৩১ মে ঈদ যাত্রার এই দিনের কাউন্টার ও অনলাইনের টিকিটের পরিমাণ ছিল ৬২ হাজার ৮৪০ টি। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৯৬টি টিকিট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।