বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ

সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথ এবং ঢাকা জেলা পরিষদের অধিন্যস্ত ২৫ শতাংশ জমি জবর দখল করে বাজার বসিয়েছে একটি চক্র। ফলের আড়তের নামে দোকান বসিয়ে সেখানকার দোকানীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা অগ্রিম এবং মাসে দোকান প্রতি ১০-২০ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার নাম ব্যবহার করছে দখলদাররা। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা ওই জমি থেকে অবৈধ ফলের আড়ত উচ্ছেদ করে সেখানে শিশুপার্ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয়রা এনিয়ে শিঘ্রই মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী দিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে ঢাকা-অরিচা মহাসড়কের পাশে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ওই জমির অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন। জমি কাটাতারের বেস্টনী দেয়া হয়। এরপর স্থানীয় জনৈক কুদ্দুস, জজ মিয়া, জালাল উদ্দিনসহ কয়েকজন ওই জমি জেলা পরিষদ থেকে লিজ নিয়েছেন দাবি করে কাটা তারের বেষ্টনী ভেঙ্গে সেখানে দোকান বসানো শুরু করেন। টানানো হয় লিজের সাইনবোর্ড। এমনকি মহাসড়ক থেকে গেন্ডা প্রবেশ পথের রাস্তা ঘেঁষে বসানো হয় দোকান। এনিয়ে ইসমাইল হোসেন আজম নামে এক আইনজীবী আদালতের শরণাপন্ন হলে নবায়নযোগ্য ওই লিজ বাতিল করে জেলা পরিষদ।
বাজারের একাধিক দোকানী জানান, দখলদাররা প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার বাড়ির দারোয়ান ও একজন গাড়ি চালককে সঙ্গে নিয়ে মহাসড়কের পাশের ওই জমিতে বাজার বসানোয় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। নাসির নামে জনৈক ব্যক্তি নিজেকে ওই উপদেষ্টার কথিত ভায়রা পরিচয়ে মাসে হাতাচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
এদিকে মহাসড়কের পাশে লরি ও ট্রাক থামিয়ে পাইকারী ফল আনা নেয়া করায় ব্যস্ততম ওই সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো ধরনের কাগজপত্র না থাকলেও শুধুমাত্র গায়ের জোরে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের সড়ক ও জনপথ এবং জেলা প্রশাসনের অধিন্যস্ত অর্পিত সম্পতি দখল করে রেখেছে ওই চক্র। ইচ্ছেমতো দোকান বসিয়ে মাসে আদায় করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।