Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য সরকার দায়ী

মানববন্ধনে ব্যারিস্টার মওদুদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, চকবাজরের (পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে) একটা পরিত্যক্ত নির্জন কারাগারে বেগম খালেদা জিয়া একাকী জীবন-যাপন করেছেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার এই অসুস্থতা, তার শরীরের এই অবনতির জন্য এই সরকারকে দায়ী করব আমরা। দেশের মানুষ মনে করে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক যে অসুস্থতা এর জন্য এই সরকারই দায়ী। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সুচিকিৎসা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে মানবন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, প্রথমে কারাগারে পরিত্যক্ত ভবনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছিল। সেখানে কোনও ধরনের সুযোগ সুবিধা ছিল না। একটা নির্জন কারাগারে তিনি একাকী জীবনযাপন করেছেন। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে যে খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বিশেষ আদালত স্থাপনের বৈধতা শিগগিরই উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হবে জানিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, এই আদালত স্থাপন করা সংবিধান পরিপন্থি। আমরা মনে করি, সংবিধানে যে মৌলিক অধিকার একজন নাগরিককে দেয়া হয়েছে সেই অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই কেরানীগঞ্জে আদালত স্থাপনার বৈধতা নিয়ে আমরা সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করবো। আমরা এটা করতেই থাকবো। কারণ আমাদের অন্য কোনো উপায় নাই। আমরা লড়ে যাবো। আদালতেও লড়বো, রাজপথেও লড়বো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এখন পর্যন্ত মুক্তি পান নাই সরকারের বিভিন্ন কলাকৌশল ও বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে। এখন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে যে, হাসপাতাল থেকে তাকে (খালেদা জিয়া) এখন কেরানীগঞ্জের কারাগারে নিয়ে যাওয়া। কারণ তারা (সরকার) চায় না যে, বেগম জিয়া মুক্ত হোক। আমরা চেষ্টা করছি, আইনজ্ঞরা আইনতভাবে যতটুকু করা সম্ভবপর আমরা করছি। কিন্তু সরকারের কূটকৌশলের কারণে আমরা সফল হতে পারছি না। তারপরেও এই আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে এবং তার সাথে সাথে আমাদেরকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ আন্দোলন ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তি অর্জন করা সম্ভবপর হবে না- এটা আমরা বুঝি সকলে।
সংগঠনের সদস্য সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় মানবন্ধনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, কাদের গনি চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, চিকিৎসক অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শামসুল আলম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া. অ্যাডভোকেটে জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, বিএনপির সাখাওয়াত হাসান জীবন, সাদেক আহমেদ খান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা বক্তব্য দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ