Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

এআইইউবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৯, ১২:৩১ এএম

রাজধানীর কুড়িল এলাকায় প্রেমিকার বাসায় গিয়ে আশিক এ এলাহী (২০) নামে এআইইউবি’র এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে কুড়িল পূর্বপাড়া এলাকার একটি বাসায় গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে নিহতের পরিবারের দাবি, এলাহী আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি রহস্যজনক। অন্যদিকে ভাটারা থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় মনে হয়েছে এটি আত্মহত্যা। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত এলাহীর গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দালালবাজার গ্রামে। ওই বাসায় এলাহীর প্রেমিকা অন্য এক মেয়ের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন।
ভাটারা থানার এসআই আল-আমিন কাউছার জানান, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে বান্ধবীর ভাড়া বাড়ি কুড়িল পূর্বপাড়া নুরুল ইসলামের বাড়ীর ২য় তলায় রুমে কমোরের বেল্টের সাহায্যে গলায় ফাঁস দেয়। পরে ওই বাড়ীর লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
আশিকের বড় ভাইয়ের বন্ধু গোলাম মুক্তাদির দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ভোর সাড়ে ৫ টায় ওই মেয়ে তার (মৃতের) ভাই আলআমিনকে ফোন দিয়ে ছিল, কিন্তু সে ঘুমিয়ে থাকায় মোবাইল ফোনটি রিসিভ করতে পারেনি, পরে ফোন দিলে মেয়েটি জানিয়েছে, আপনার ভাই এখানে এসে খুবই সিনক্রিয়েট করেছে, এখন সে হাসপাতালে আছে। এরপর পুলিশ ও তাকে ফোন দেয় এবং হাসপাতালে গিয়ে মৃত পাওয়া যায় আশিককে।
তিনি আরো বলেন, আশিক এআইইউবির পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র। তার সহপাঠী ওই মেয়ের সঙ্গে এক-দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি, ওই মেয়ের সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে বাসার জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। আশিক উচ্চতা ছয় ফুট, সে কোনোভাবেই জানালার সঙ্গে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তার মৃত্যু রহস্যজনক। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করছি বলে তিনি জানান।
ভাটারা থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক আরো জানান, আশিক এ এলাহী প্রেমিকা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা দুজন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছেলেটি সকালে মেয়ের বাসায় গিয়ে আজই বিয়ের কথা বলে। মেয়েটি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ছেলেটি বলে, আত্মহত্যা করব। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মেয়েটি বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি ঘরে ফিরে দেখে এলাহী কোমরের বেল্ট দিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দেয়া। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বাসার মালিক পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এলাহীকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে সে কুড়াতলি বাজার ভাটারায় থাকতো। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে ওসি মন্তব্য করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ