পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720206677](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের প্রতিহিংসা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, দেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী ও গণমানুষের ভরসাস্থল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে জীবন বিপন্ন করার পাঁয়তারা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে এটি সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, তাঁর ইচ্ছাতেই বেগম জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মিছিলটি নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ বেগম জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আয়েশ-পায়েশ’ ইত্যাদি ব্যাঙ্গাত্মক রসিকতায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিষ্ঠুর মনেরই পরিচয় দিয়েছেন। যে নেত্রী গণতন্ত্রের পক্ষে, মত প্রকাশের পক্ষে সেই দেশনেত্রীকে নির্যাতন করে শেখ হাসিনা আনন্দ পান। বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না করলে দেশ খাদের কিনার থেকে পড়ে গিয়ে অতলে তলিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার আগুন নেভাতে হলে আমাদেরকে রাজপথে আসন গ্রহণ করতে হবে। দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে আমরা বাইরে বসে থাকতে পারিনা, তাঁর মুক্তির জন্য দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আওয়াজ তুলতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশে লাখ লাখ তরুণ বেকার, কর্মসংস্থান নেই, ধানের ক্ষেতে আগুন, দূষিত পানি সরবরাহ, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, অথচ সরকারের তথাকথিত উন্নয়নের গলাবাজী থামছে না, লুটপাটের উন্নয়নের কথা শুনতে শুনতে জনগণ প্রচন্ত অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। চাপাবাজী দিয়ে জনগণের ক্ষোভকে নেভানো যাবে না।
খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখে সরকারের নিষ্ঠুর খেলার পরিণাম শুভ হবে না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভয়াবহ দুঃশাসন ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর যে হিংস্র আচরণ চালাচ্ছে তাতে বিশ্বের সকল স্বৈরাচারের ইতিহাস হার মেনেছে। নারী-শিশু নির্যাতনকারী ও দখলবাজ-লুটেরারা দেশব্যাপী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বেপরোয়া নারী-শিশু নির্যাতন থেকে শুরু করে গুম, খুন, অপহরণ, বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুপ্ত হত্যা এবং জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় দেশের মানুষ এখন সর্বদা আতঙ্কিত জীবন-যাপন করছে। এই ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জনগণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। মিছিল শেষে আরও বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল।
মিছিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, গোলাম সরোয়ার, ইয়াছিন আলী, সাদরেজ জামান, ফখরুল ইসলাম রবিন, গাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজ, রফিক হাওলাদার, হারুন অর রশিদ, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, মাজহারুল হক সোহাগ, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, মোস্তাফিজুর রহমান মনির, মাহবুবুল আলম মন্টু, শফিউদ্দিন সেন্টু, সাঈদুর রহমান সাঈদ, আবদুর কাদির ঝিলন, নাজমুল হোসেন অভি, আশরাফুল আলম সুমন, ইদ্রিশ মিয়াজী ভিপি মোহন, সিদ্দিক মোল্লা, আনোয়ার সাদাৎ সায়েম, মাহবুবুর রহমান, সালাহ উদ্দিন সালু, রফিকুল ইসলাম, মোঃ নয়ন, আপেল মাহমুদ, মোঃ মতি, আবুল কালাম আজাদ, মহিউদ্দিন লোবানসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।