বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বাংলাদেশের অন্যতম সমৃদ্ধ লাইব্রেরি জাতীয় সংসদ লাইব্রেরির প্রাণ ফেরাতে নতুন করে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে লাইব্রেরি কমিটি। বই পড়ায় বিমূখ এমপিদের জ্ঞানার্জনে মনোনিবেশ করাতে লাইব্রেরিকে আরও আকর্ষণীয় করা হবে। সেই সাথে ভারতের লোকসভার লাইব্রেরির আদলে সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করা হবে।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুিষ্ঠত লাইব্রেরি কমিটির বৈঠকে এসিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কমিটি সভাপতি ডেপুটি স্পিকার মো.ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটি সদস্য আব্দুল মান্নন, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, মো. ছানোয়ার হোসেন, তানভীর ইমাম, মো.শফিকুর রহমান। লাইব্রেরি কমিটির সভাপতি ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান এমপিরা খুব কমই লাইবেরি ব্যবহার করেন। ওদিকে যেতে চান না। তবে আমি প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে লাইব্রেরিতে যাই। ঘুরে দেখি। পড়াশোনা করি। কমিটির বৈঠকে লাইব্রেরি হতে বর্তমানে যে বুলেটিন বের করা হচ্ছে সেটির গুনগত পরিবর্তনের জন্য শুপারিশ করা হয়। একই সাথে সংসদ বুলেটিনের দুটি করে কপি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি, জাতীয় লাইব্রেরি, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করার পরামর্শ দেয়া হয়।
সংসদ ভবনের নিচতলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদ লাইব্রেরি এমপি, গবেষক ও সংসদ সচিবালয়ের স্টাফদের জন্য প্রতিদিন উন্মুক্ত থাকে। শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন হলেও সংসদ লাইব্রেরি সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। অন্যান্য দিন খোলা থাকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এতে রয়েছে সুপরিসর দৃষ্টিনন্দন পাঠকক্ষ। রেফারেন্স সার্ভিস, রিসার্চ সার্ভিস, ইন্টারনেটসহ আধুনিক নানা সুবিধা। এমপিরা নিয়মিত লাইব্রেরিতে আসবেন। সংসদীয় রীতি-নীতি ও আইনের নানা ব্যাখ্যা নিয়ে নতুন এমপিরা ইতিহাস থেকে পাঠ নিয়ে সমৃদ্ধ হবেন বলেই দেশে দেশে সংসদ লাইব্রেরি আইন প্রণয়নে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশের আইনপ্রণেতাদের সুবিধার্থে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের গণভবনে ১৯৭২ সালে সংসদ লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে এটি বর্তমান সংসদ ভবনে স্থানান্তরিত হয়। অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের আইনসভার নথিপত্র থেকে পাকিস্তান, পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সংসদীয় কার্যক্রমের এক বিশাল সংগ্রহশালা এই লাইব্রেরি। বিশ্বের বিভিন্ন জার্নাল, আইন, অধ্যাদেশ, ঘোষণা, সামরিক বিধি, সরকারি গেজেট, সংসদের বিতর্ক, অ্যাটলাস, মানচিত্র, গবেষণাপত্র, আউট অব প্রিন্ট বহু দু®প্রাপ্য গ্রন্থসহ এই লাইব্রেরির বইসংখ্যা ৮৬ হাজারের অধিক। কিন্তু সংসদ লাইব্রেরির রেজিস্ট্রারের অধিকাংশ পাতাই শূন্য। লাইব্রেরি থেকে বাসায় নিয়ে এমপিদের বই পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও বই ইস্যুর পরিসংখ্যান কোনো মাসেই ১০ ছাড়ায়নি। জাতীয় সংসদে ৩৫০ জন এমপি থাকলেও লাইব্রেরিমুখী হওয়ার সময় নেই তাদের। সংসদ অধিবেশন থাকলেও লাইব্রেরিতে ১০ জন এমপির সমাবেশও ঘটে না।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।