Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংঘর্ষ, ব্যালট পেপার ছিনতাই আর পুলিশের ফাঁকা গুলিতে কেশবপুরে ভোট সম্পন্ন

প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৪:৫১ পিএম, ২৮ মে, ২০১৬

কেশবপুর উপজেলা সংবাদদাতা : ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,বিরোধীদলের প্রার্থীকে মারপিট, কেন্দ্রে থেকে জোর করে ব্যালট পেপার ছিনতাই, সিল নিয়ে চলে যাওয়ার ঘটনার মধ্যে দিয়ে কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাকা গুলি এবং একাধিক প্রার্থী ও কর্মী সমর্থককে আটক ও লাঠিপেটা করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসবের মধ্যে কেশবপুরের সার্বিক ভোট গ্রহণ ছিল মোটামুটি।
সকাল ৯টার দিকে সদর কেশবপুর ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক আলাউদ্দিন আল আলতাপোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে নৌকা প্রতিকে কর্মীরা হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে এসময় তার সঙ্গী সুপার ইকবাল হোসেন ও আহত হন। আলাউদ্দিনের বহন করা মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করা হয়। বেলা পৌনে ১০টার দিকে মজিদপুর ইউনিয়নের মজিদপুর কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে নৌকার কর্মীরা এক বান্ডিল ব্যালটপেপার ও একটি ছিল নিয়ে চলে যায়। এসময় পুলিশ ১রাউন্ড ফাকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। সকাল দশটার দিকে সদর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কেন্দ্রে সরকার সমর্থক দুই মেম্বর প্রার্থীর মধ্যে মারামারি বাধলে পুলিশ এসময় লিটন হোসেন লিটনকে আটক করে নিয়ে যায়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে ৭নম্বর পাজিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর কেন্দ্রে বাহির থেকে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। ৮নম্বর সুফলাকাঠি ইউনিয়নেও একই অভিযোগ ছিল সরকার সমর্থক প্রার্থীদের জোর করে সামনে সিল মারতে বাধ্য করা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ যাওয়া মাত্র তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় কেন্দ্রের দুয়ের তিন ভাগ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়ে ছিল কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মোট ১০৩টি কেন্দ্রে এবার ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১লাখ ৬৭হাজার ৮শ ৫৯জন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ