পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মাঠ পর্যায়ে কৃষি শুমারির তথ্য সংগ্রহ শুরু হচ্ছে আগামী ৯ জুন থেকে। চলবে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে সারাদেশের শহর ও পল্লী এলাকায় শস্য, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ লক্ষে বিভাগীয় ও জেলা সমন্বয়কারিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
রোববার (১৯ মে) সকালে তিনদিনের এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। রাজধানীর আগারগাঁও-এ পরিসংখ্যান অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডল এবং কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জাতীয় কৃষি শুমারি-২০১৯ এর সমন্বয়ক বিবিএস এর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. জাফর আহমেদ।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পরিসংখ্যান বিষয়ে আধুনিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে। এজন্য সুন্দর একটি জায়গা খুঁজে বের করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) জমা দেন। তাহলে আমি প্রধানমন্ত্রী কাছে নিয়ে যেতে পারবো। আমরা চাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি সেন্টার অব এক্সিলেন্সি হিসেবে গড়ে উঠুক। প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই চান বেশি বেশি গবেষণা হোক।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় বা অন্যকোনো সংস্থার তথ্যের গ্যাপ কমিয়ে আনতে হবে। যেমন- ধানের উৎপাদন ও বাস্তবতার হিসেবের মধ্যে ফারাক থাকে। সেটি কমিয়ে আনতে হবে। কৃষি শুমারি সঠিকভাবে করতে হলে টিম ওয়ার্ক করতে হবে। আপনারা প্রশিক্ষণ নেবেন। তারপর কাজ করবেন নিজেদের জন্য, দেশের জন্য। কাজকে নিজের ভাবতে হবে। তদারকি ঠিকমতো করতে হবে।
গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা ক্রটি তুলে ধরুন। ক্রটি কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়। এটা ভুল হলে বা অবহেলা হলে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় অধিক কাজ করতে হবে। সমাজে অন্যায় আছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। অনেক সময় আইন দিয়ে অন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। সেগুলো ধীরে ধীরে দূর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ধারাবাহিকভাবে কৃষি শুমারির কার্যক্রম চলবে। প্রথম প্রথম জোনাল অপারেশন শুরু হয়েছে গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় জোনাল অপারেশন গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। শুমারির প্রস্তুতি শুরু হয় গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শুমারির প্রশিক্ষণ ১৯ মে থেকে শুরু হয়ে ১ জুন পর্যন্ত চলবে। আর মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে ৯ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত।
মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, তথ্যের গড়মিল দুর করা প্রয়োজন। নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের চেষ্টা চলছে। তবে, সেটি সহজ কাজ নয়। ধীরে ধীরে সম্ভব হবে। তাছাড়া, বর্তমানে ধানের দাম যে কম এটি একটি মধুর বিড়ম্বনা। কেননা উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কমেছে।
মো. রইছউল আলম মন্ডল বলেন, কৃষিতে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদের ব্যাপক অবদান থাকলেও সেটির সঠিক হিসাব অর্থনীতিতে আসে না। আশা করছি কৃষি শুমারিতে এসব তথ্য যথাযথভাবে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।