Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বেতনের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সাথে কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। এধরণের সিদ্ধান্তকে সরকার বিরোধী গভীর চক্রান্ত উল্লেখ করে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, এতে সরকারের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষু্ন্ন হচ্ছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের আদেশ প্রত্যাহার না করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবিরাম ধর্মঘটসহ সকল প্রকার পরীক্ষা বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সংগঠনটি। একইসাথে শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের অপসারণ করা এবং শিক্ষকদের কর্তনের টাকার হিসাব ও যথারীতি অডিট করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। গতকাল (শনিবার) বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।

শিক্ষক নেতারা বলেন, বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ তথা অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা শিক্ষকদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই। বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন আইনের লংঘন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে দীর্ঘ ৩৪ বছর পর ৫ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দিয়েছেন গত নভেম্বরে। মাত্র ৫ মাসের মাথায় আবার ৪ শতাংশ কর্তন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। এটি সরকার বিরোধী একটি গভীর চক্রান্ত।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন- বেসরকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস পেয়ে থাকেন, যা দিয়ে তাঁরা পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না। আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বেই তাঁরা পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাসসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয়করণের প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ রাখার জোর দাবী জানান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় ফেরত নিয়ে হলেও জাতীয়করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মোঃ নজরুল ইসলাম রনি। উপস্থিত ছিলেন- মহাসচিব মোঃ মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাশিসের উপদেষ্টা সাজেদা বেগম, বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ মঞ্চের আফজালুর রশীদ ও আবুল বাশার নাদিম, বিটিসি এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সহকারী মহাসচিব মোঃ মঈনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ হান্নান সরদার, লিয়াঁজো ফোরামের উপদেষ্টা মোঃ ফিরুজ মিয়া, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ মঞ্জুরুল আমিন শেখর, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ বজলুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ এনামুল হক প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ