Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহৎ আমের মোকাম যশোরের বেলতলা বাগুড়ী

প্রতিদিন ১শ মে:টন আম রফতানি হচ্ছে ঢাকা চিটাগাংসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৯, ৪:৩১ পিএম

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহৎ আমের মোকাম যশোরের শার্শা উপজেলার বেলতলা বাগুড়ী আমের মোকাম থেকে প্রতিদিনি ১শ মে:টন আম রফতানি হচ্ছে ঢাকা চিটাগাংসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে।

বাজারে হিমসাগর গোপাল ভোগসহ বিভিন্ন প্রজাতির আমে বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে এখানকার আমের মোকাম। এবার বেশী লাভের আশা করছেন আম চাষীরা।
যশোরের শার্শা ও ঝিকরগাছা এবং সাতক্ষিরা কলারোয়াসহ তিনটি উপজেলার সংযোগস্থল বাগুড়ী বেলতলা বাজার। এ বাজারে প্রতিদিন ওইসব উপজেলা থেকে আসছে মোহনভোগ, হিমসাগর, গোপালভোগসহ নানা প্রজাতির আম। বছর কয়েক ধরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহৎ আমের মোকামে পরিনত হয়েছে বাজাররটি। চাষীরা বেশী লাভের আশায় আগাম আম এনে বাজারে বিক্রি করছেন। ঢাকা চিটাগাংসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন আম ব্যবসায়িরা। বেলতলার অর্ধশত আমের আড়ৎ থেকে আম কিরছেন তারা। ১৮শ’ থেকে ৩৬শ’ টাকা মন দরে এসব আম কিনছেন তারা।
ঢাকা ও কুষ্টিয়া থেকে আসা আম ব্যবসায়ি ফারিদ গাজি ও আরমান মোল্লা বলেন, এই হাটে আমের মজুদ বেশী থাকে। যেকারণে দামও কম। যেকারণ প্রতিদিন ৩শ’ ক্যারেট আম কিনছেন। এসব আম ঢাকা চিটাগাংয়ে বেশী দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
আড়ৎ ব্যবসায়ি বাবলু হোসেন ও আকবার আলী বলেন, প্রচুর আম আমদানি হচ্ছে এখানে। জমজমাট বেচাকেনাও হচ্ছে। বাগুড়ীর আম দেশের বিভিন্ন শহরে ও দেশে বাইরেও রপ্তানী হচ্ছে। আমের মান ভাল হওয়ায় চাহিদাও ভাল।
জামতলা গ্রামের আমচাষি কালামুল বলেন, তিনি ৪ বিঘা জমিতে আম চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। ৩ লাখ টাকার আম বিক্রির আশা করছেন তিনি। এবার আমের ফলন ভাল হয়েছে বলে জানান চাষী মলম আলী ও আব্বাস আলী।
বাজার কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন ২শ মে:টন আমদানি বেচাকেনা হচ্ছে। আমের গুণহত মান ঠিক রাখতে তিনি কমিটির সদস্যদের নিয়ে তদারকি করছেন। এবার আমে ফরমালিন রোধে গণসচেতনতাসহ প্রচার প্রচারণা চালানোও হয়েছে বলে দাবি করেন।
বাগ আচড়া পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ সুকদেব বলেন, আমবাগান নজরদারীতে রেখেছে প্রশাসন। আমে যাতে কেউ কেমিকেল মেশাতে না পারে সেজন্য প্রশাসন সহ সজাগ রয়েছে পুলিশ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল বলেন, উপজেলায় চলতি মৌসুমে টার্গেট অতিরিক্ত আম চাষ হয়েছে। ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় খুশি চাষী। আমের ভাল হারবেষ্টের জন্যে চাষীদের পরামর্শ প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দিচ্ছেন কৃষি অধিদপ্তর। আমের বাজারগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যশোর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ