Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদের আগে-পরে ৭ দিন বন্ধ পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল

ঢাকার অভ্যন্তরীণ নদী-খালগুলো দূষণমুক্ত করতে আগ্রহী ভারত : নৌপ্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে মোট সাতদিন পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে তিনদিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের তিনদিন পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে। প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকার আশপাশে ও অভ্যন্তরীণ নদী-খালগুলো দূষণমুক্ত করতে ভারত আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর নিজ কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙগুলী দাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষৎ শেষে তিনি এসব কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকার ভেতরে ও আশপাশে যে নৌরুট রয়েছে তা দূষণের ফলে যাত্রীদের আগ্রহ কম। এজন্য রুটগুলোকে দূষণমুক্ত করতে ভারত আগ্রহী। একইসঙ্গে রাজশাহীর গোমতী নদীতে একটি নৌরুটসহ গোদাগাড়ী স্থলবন্দর দ্রæত নির্মাণ করতে চায় বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। দু’দেশের মধ্য অনেক নৌপথ ও স্থলপথ রয়েছে। আবার অনেক পথ ভারতের অর্থায়নে তৈরিও হচ্ছে। আজ আমরা আলোচনা করেছি রাজশাহীর গোমতী নদীতে একটি নতুন করে নৌরুট ও গোদাগাড়ী স্থলবন্দর নির্মাণের বিষয়ে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে সার্ভে হয়ে গেছে। পরবর্তীতে টেকনিক্যাল পর্যায়ে আরো আলোচনা হবে। এছাড়া ঢাকার ভেতরের নদীগুলোর দূষণ কমানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। খালিদ মাহমুদ বলেন, ভারতের সঙ্গে নদী ও স্থলবন্দর নির্মাণ হলে দু’দেশের মধ্যে যোগাযাগ বৃদ্ধিসহ বাণিজ্য বাড়বে। এজন্য আমাদের অবকাঠামো দুর্বলতা কমাতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের স¤প্রতি যে পর্যটনবাহী জাহাজ চালু হয়েছে তা পর্যটন শিল্পকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে পর্যটন জাহাজের ধারণ ক্ষমতা ৫০০ থাকলে যাত্রী যায় সাত থেকে ১০ জন, এটা স্বাভাবিক বিষয়। পর্যটন খাতে সবসময় আর্থিক বিবেচনা করলে চলবে না। এখন মানুষের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
তিনি বলেন, পর্যটন বাড়াতে হলে আমাদের আগে অবকাঠামো বাড়াতে হবে। নৌপথে পর্যটকরা যেখানে নামতে চায়, সেসব স্থান গুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ বলেন, আসন্ন ঈদের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আমরা ৩০ এপ্রিল একটি সভা করেছি। সভায় জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিআরটিএ, বিআইডবিøউউটিএসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাসহ নৌপরিবহন শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় একটি সমন্বয় কমিটি করে দেয়া হয়েছে। আমরা যে সিন্ধান্ত নিয়েছি তা কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে সে বিষয়ে কমিটি সারাক্ষণ মিনিটরিং করবে।
ইতোপূর্বে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। যাতে ঈদের সময় যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতে লঞ্চঘাটগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি ঈদের অগে ও পরে মোট ৭ দিন মালবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। তিনি বলেন, লঞ্চমালিকেরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন ঈদের সময় তারা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবেন না। এ বিষয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা একটি আনন্দপূর্ণ ঈদ উদযাপন করতে চাই।
দখল হওয়া নদী উদ্ধারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব নদী দখলমুক্ত করা হয়েছে সেসব স্থান পুণরায় দখল করলে তারা ভুল করবে। কারণ আমাদের অভিযান চলমান রেখেছি, যা সারা বছর চলবে। তবে এখন রমজান উপলক্ষে বন্ধ আছে। ঈদ শেষ হলে আবার শুরু হবে। এছাড়া ঢাকার আশেপাশের নৌরুটগুলো উদ্ধার ও চলাচলের উপযোগী করতে একটি মাস্টার প্ল্যান নেয়া হয়েছে। প্ল্যানটি দুইবছর, তিনবছর ও পাঁচবছর মেয়াদী হবে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নৌখাতের সক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে। আমরা পানগাঁও বন্দর, পায়রা বন্ধর, মোংলা বন্দর করেছি। বন্দরগুলোতে কন্টেইনার জট কমেছে। নদীগুলো ড্রেজিং হচ্ছে। ফলে নদীগুলোর ধারণ ক্ষমতা বেড়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ