Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভেজালবিরোধী অভিযান : পঁচা, বাসি মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য

গ্রামীণ সুইটস ও ঘরোয়াসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাজধানীতে পৃথক ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে হোটেল রেস্তোরাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল বুধবার দিনভর পৃথকভাবে এ অভিযান চলে। অভিযানকালে দেখা যায়, রাজধানীতে গ্রামীণ সুইটস মেয়াদোত্তীর্ণ ময়দা ও পঁচা বাদাম ব্যবহার করে সেমাই তৈরি করছিল। এ অপরাধে গ্রামীণ সুইটসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি ও পণ্যের মোড়কে মূল্য লেখা না থাকায় গ্রামীণ সুইটসসহ সাত প্রতিষ্ঠানকে ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফরোজা রহমান ও আতিয়া সুলতানা।
সহকারী পরিচালক আফরোজা রহমান জানান, অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ময়দা ও পচা বাদাম দিয়ে সেমাই তৈরির অপরাধে গ্রামীণ সুইটমিটকে ৫০ হাজার টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে রিফাত ব্রেডকে ৫০ হাজার টাকা, ক্যাফে জান্নাত রেস্টুরেন্টকে ১৫ হাজার টাকা, ডায়মন্ড সুইটসকে ১০ হাজার টাকা, মক্কা-মদিনা স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, ভাতিজার গোশতের দোকানকে ৩ হাজার টাকা, সিয়াম স্টোরকে ৫ হাজার টাকা ও মেহের জেনারেল স্টোরকে ৫ হাজার টাকাসহ আট প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে সহায়তা করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১ এর (এপিবিএন) সদস্যরা।
এছাড়াও রাজধানীর ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে অবস্থিত নামিদামি রেস্টুরেন্ট বাবুর্চি ও কড়াই গোস্তকে বাসি ইফতার বিক্রির অপরাধে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, বাবুর্চি রেস্টুরেন্টের রান্না ঘরে ঢুকেই দেখা যায় নোংরা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ। চারদিকে ময়লা-আবর্জনার মধ্যেই তৈরি হচ্ছে রকমারি সব খাবার। অন্যদিকে কড়াই গোস্তে আগের দিনের ভাজা জিলাপি রেখে দিয়েছে বিক্রির জন্য। বোরহানিতে ময়লা ছিল। রান্না করা মাংস ও কাচা মাংস ফ্রিজে একসঙ্গে রাখা ছিল। এছাড়া পচা ও বাসি মাংস দিয়ে তৈরি করছে ইফতার সামগ্রী। একই দিন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাছের দোকানগুলোতে তদারকি করা হয়। এ সময় দোকানে মাছের মূল্য তালিকা না টানানোর অপরাধে শহীদের মাছের দোকান, মহিউদ্দিনের মাছের দোকান ও ইউসুফের মাছের দোকানকে দুই হাজার টাকা করে মোট ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)-১১ এর সদস্যরা।
এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সংরক্ষণ ও বাসি খাবার রাখার অপরাধে অনেকগুলো হোটেল ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেন। এর মধ্যে আরামবাগের ঘরোয়া রেস্তোরা অ্যান্ড হোটেল লিমিটেডকে ৪০ হাজার, ফকিরাপুলের দি গাউছিয়া হোটেলকে ৩০ হাজার, এশিয়া গার্ডেনকে ৫০ হাজার, নিউ আল ইমাম হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৩০ হাজার ও শান্তিনগরের মের্সাস আব্দুল কুদ্দুস ভূঞা প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পঁচা, বাসি খাবার রাখার অপরাধে তাদেরকে এ জরিমানা করা হয়। রাজধানীবাসীর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ডিএমপি বদ্ধপরিকর। রমজান এবং রমজানের পরেও ভেজালবিরোধী এ অভিযান চলবে বলে তিনি জানান।
##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ