পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যাদের উপর সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্ব তারা যদি নিজেরা ব্যালটে সিল মারেন তাহলে কি করে হবে। হুজুর যারা, মাদরাসার প্রিন্সিপাল তিনি নিজে গিয়ে সহকর্মীদের নিয়ে সিল দিয়ে বাক্সে ব্যালট ঢুকালে কি করার আছে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এভাবেই হতাশা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। একই সাথে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত পুলিশ সুপার (এসপি), রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ কেউ নির্বাচনী আইন পরিপন্থি কোনো কাজ করলে তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ইটিআই ভবনে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সিইসি।
নূরুল হুদা বলেন, অন্যায় করলে, হতে পারে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে রেহাই পাবে না। তিনি বলেন, হতে পারেন তারা পুলিশ সুপার কিংবা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা যে কেউ। তবে তারা কোনো ধরনের অন্যায় করলে, নির্বাচনী আচরণপরিপন্থী কাজ করলে প্রত্যেককেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কোন রকম ছাড় দেবে না। ছাড় দিইনি, দিতে চাই না। সে কথাটা মনে রাখতে হবে।
অতি উৎসাহীদের বিষয়ে সিইসি বলেন, কোথাও কোথাও অতি উৎসাহী কাজ হয়ে থাকে। যেমন- গত নির্বাচনে এক জায়গায় এক হুজুর... হুজুরদের ওপরে তো আমাদের রোজা-রমজান মাস আসলে আস্থা বেড়ে যায়। কিন্তু তাদেরই দেখি, মাদরাসার প্রিন্সিপাল, তিনি নিজে গিয়ে সহকর্মীদের নিয়ে সিল দিয়ে বাক্সে ব্যালট ঢুকানোর চেষ্টা করেছেন। এই যে বিষয়গুলো, অবক্ষয়গুলো প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় আপনাদের বলতে হবে।
যেসব নির্বাচনী কর্মকর্তা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন না তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, এগুলো কেমন ধরনের আচরণ, যেখানে আপনাদের ওপর একটা নির্বাচনের সব দায়িত্ব অর্পিত থাকে, সেখানে রাতে গিয়ে আপনারা প্রিসাইডিং অফিসাররা, যাদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়োজিত করা হয়, তারা যদি এই কাজ করেন তাহলে কীভাবে হবে? তিনি আরও বলেন, যাদের ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা আইনের সম্মুখীন হবেন, তারা শাস্তি অবশ্যই পাবেন।
সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ার বিষয়ে নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচনের পবিত্র দায়িত্ব আপনারা পালন করতে যাচ্ছেন। আমি আশা করি, কমিশন আশা করে, আপনাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব হবে। এ সময় নির্বাচনী কর্মকর্তারা এ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবেন কি না তা জানতে চান সিইসি। পাশাপাশি প্রার্থীদের এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দেন তিনি।
চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোট আগামী ১৮ জুন। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২১ মে, যাচাই ২৩ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।