Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধান ক্ষেতে আগুন দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৯, ১২:০২ এএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। সমস্ত হিংসা-বিদ্বেষ, রাগ-ক্রোধ, লোভ-মোহ, প্রতিহিংসা-জিঘাংসা থেকে আত্মশুদ্ধি-আত্মসংযমের প্রশিক্ষণের মাস। মানুষ আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য রোজা পালন করে। মানুষ পরকালের কথা ভেবে নিজেকে শুধরে নেয়। কিন্তু এই পবিত্র মাসেও মিডনাইট নির্বাচনের সরকার ও সরকার প্রধানের মধ্যে রমজানের মাহাত্ম্যের লেশমাত্র নেই। প্রতিহিংসাপরায়ণতা, দাম্ভিকতা, নৃশংসতা, নির্দয় ও মানবতাহীনতা তাদের তীব্রভাবে ঘিরে রেখেছে। এই সরকারই গণতন্ত্রকে ছিন্নমূল করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের জন্য অকুতোভয় আপোষহীন সংগ্রামী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করেনি বর্তমান জনধিকৃত মধ্যরাতের অন্ধকারের সরকার। লন্ডন থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরপরই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনার জন্য কেরানীগঞ্জের কারাগারে আদালত বসাতে। গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রীকে পিজি হাসপাতাল থেকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেয়ার চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, আগুন নিয়ে আর খেলবেন না। এই হিংসার আগুনে একদিন হয়তো আপনাদের নিজেদেরই সর্বনাশ হবে। খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলছেন এবার সেই ‘ডার্টি গেইম’ বন্ধ করুন। জামিনে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন। আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার বন্ধ করুন। রাজনৈতিক প্রতিদ্ব›িদ্বদের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবেন না। অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। সরকার যদি বারবার দেশনেত্রীর জামিনে বাধা দেয় তবে রাজপথেই হবে ফয়সালা।
কৃষকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এদেশের প্রাণ কৃষকদের এখন নাভিশ্বাস দশা। ধান চাষ করে লোকসান দিয়ে কৃষকের ঘরে ঘরে এখন হাহাকার। প্রতি মন ইরি-বোরো ধানে লোকসান দিচ্ছেন ২০০ টাকা করে। বর্গাচাষিরা সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছেন। লোকসানের পর ব্যাংক ঋণ, এনজিও’র কিস্তি, মহাজন ও সার-কীটনাশক ব্যবসায়ীদের দেনা শোধ করা দায় হয়ে পড়েছে। নানা ঋণে জর্জরিত কৃষক ক্ষোভে দুঃখে কষ্টে ধানের দাম না পেয়ে পাকা ধানক্ষেতে আগুণ দিচ্ছেন। সড়কে ধান ছিটিয়ে প্রতিবাদ করছেন। এটি দেশের ইতিহাসে ধান ক্ষেতে আগুন দেয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। সবচেয়ে বড় আশঙ্কার কথা হলো, কৃষকরা যদি লোকসান থেকে বাঁচতে আগামীতে ধানের ফলন কমিয়ে দেয়, তাহলে কি উপায় হবে? যার অবধারিত ফলাফল-দুর্ভিক্ষ।
সরকারের মন্ত্রীদের চাপাবাজী বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, দেশে কর্মসংস্থানের অভাবে চাকরির জন্য জীবনবাজি রেখে ইতালী পাড়ি দিতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন ৩৭ জন হতভাগ্য ভাই। তাদের জন্য আমরা গভীরভাবে শোকাহত।



 

Show all comments
  • Joynul Abedin ১৫ মে, ২০১৯, ৯:৪৮ এএম says : 0
    ধুমায়িত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র শুরু।
    Total Reply(0) Reply
  • Masum Akter ১৫ মে, ২০১৯, ৯:৪৮ এএম says : 0
    অর্থনৈতিক উন্নয়নের রুপ চিত্র
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ