Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্যাতন থেকে চিরদিনের জন্য মুক্তি পেলেন সেই গৃহবধূ

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

দিনাজপুরের পার্বতীপুর হরিজন পল্লীতে (ইব্রাহীম নগর সুইপার কলোনী) গৃহবধূ কেয়া রাণী বাশফোঁড় (২৮) স্বামী শ্বাশুরীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে অগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
জানা যায়, নিহত কেয়া রানী গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার উত্তরপাড়া গো-হাটি হরিজন পল্লীর রাজু চৌধুরীর মেয়ে। ৬ বছর আগে পার্বতীপুর উপজেলার ইব্রাহীম নগর সুইপার কলোনীর শীতারাম বাশফোঁড়ের ছেলে বৈশাখ বাশফোঁড়ের সাথে তার বিয়ে হয়। এই দম্পতির বর্ষা নামে এক ৫ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। কেয়া রানীর বাবা রাজু চৌধুরী ও স্বজনরা অভিযোগ করেন, কেয়ার স্বামী ও শ্বাশুড়ি টাকার জন্য সময়ে অসময়ে তাকে মার মারধর করতো। সংসারের খরচপত্র ঠিকভাবে দিতো না। মা বাবার সাথে মোবাইলে কথা বলতেও দিতো না পাষÐ স্বামী বৈশাখ। এ রকম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৮মে সন্ধ্যা ৭টায় কেয়া রানী তার স্বামীর বাড়িতে শ্বাশুরীসহ সবার সামনে আত্মহত্যার উদ্যেশ্যে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। ঘটনার পর অগ্নিদগ্ধ কেয়া রানীকে পার্বতীপুরের ল্যাম্ব হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ৯ মে সকালে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১২মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে গত সোমবার (১৩মে) সন্ধে সাড়ে ৭টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় শাহাবাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এদিকে, কেয়া রানী মৃত্যুর আগে তার স্বজনদের জানিয়েছে, আগুন লাগার পরে শ্বাশুড়িসহ বাড়ির লোকজন তার অবস্থা দেখা সত্তে¡ও কেউই তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে লাশটি সৎকারের জন্য ঢাকা থেকে পার্বতীপুরে আনা হয়।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ