Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যৌন প্রতিরোধ কমিটি গঠনের অগ্রগতি কতদূর

সরকারের প্রতি হাইকোর্টের রুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

সর্বচ্চো আদালতের দেয়া রায় অনুযায়ী দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন প্রতিরোধে কমিটি গঠনের বিষয়ে সরকারের অগ্রগতি জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১৮ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে গতকাল সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রেবেকা সুলতানা, ফিরোজা পারভিন লাকি, শরিফুল হক এবং ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। গত ২৮ এপ্রিল দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা, তার তালিকা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন জেন্ডার প্লাটফর্ম, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতিসহ ছয়টি সংগঠনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ রিটটি দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত গতকাল রুল জারি করলেন।
প্রসঙ্গত, কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। ওই রিট নিষ্পত্তি করে ২০০৯ সালের ১৫ মে যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞাসহ যৌন হয়রানি রোধে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়ে মামলাটির রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই রায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ কেন্দ্র গঠন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্যাতিত ও অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ না করার কথাও বলা হয়। রায়ে আরো বলা হয়, যতদিন পর্যন্ত জাতীয় সংসদে যৌন হয়রানি রোধে কোনও আইন প্রণয়ন করা না হয় ততদিন বাংলাদেশ সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টের দেওয়া এ নীতিমালা বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ