Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশে বেশিদিন জায়গা হবে না স্বৈরতন্ত্রের

বরেণ্য সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর স্মরণ সভায় বক্তারা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মাহফুজ উল্লাহ ছিলেন একজন সৎ, সহসী ও নির্ভিক সাংবাদিক। তিনি নিজের মতকে যেমন যুক্তি দিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতেন তেমনি অন্যের মতের প্রতিও তিনি সমান শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতেন। সকল ভয় ভীতির উর্ধে মাহফুজ উল্লাহ সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে অকপটে সত্য কথা বলেছেন। তিনি দেশের মুক্তির জন্য যেমন যুদ্ধ করেছেন, তেমনি গণতন্ত্র এবং মুক্ত মতের জন্য, কথা বলার স্বাধীনতার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ঐক্য চেয়েছেন, সকলের ঐক্যের কথাই বলে গেছেন। আর ঐক্যবদ্ধ হলে বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের কোন জায়গা হবে না। আজ তিনি শারিরীকভাবে হয়তো আমাদের মাঝে নেই তবে তিনি তার অনুকরনীয় ও অনুসরণীয় কর্মের মধ্যে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তিনি ছাত্র জীবনেই নিজেকে রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এরপর পেশাগত জীবনে এসে তাঁর পছন্দের দল ছিল, মত ছিল কিন্তু তিনি অন্যের মতের ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বরেণ্য সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ স্মরণে আয়োজিত এক নাগরিক শোকসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সকাল ১১টায় এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিক এ শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মরহুম মহাফুল উল্লাহ’র বড় ভাই প্রফেসর মাহবুব উল্লাহ। এছাড়াও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতি ছিলেন। খ্যাতিমান সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ গত ২৭ এপ্রিল থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। সভাপতির বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেন, মাহফুজ উল্লাহর সাথে পরিচয় আমার অনেকদিনের। তার ভাইও মাহবুব ইল্লাহ আমার অনুজ। মুক্তিযুদ্ধের পরে আমি দেশে এসে প্রথম যাকে খুঁজেছি তিনি হলেন মাহবুব উল্লাহ। তারা দুই ভাই ছিল এক বৃন্তে দুই ফুলের মত। কিছুদিন আগে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। তার মতো সত্য বলার, লেখার সাহসী মানুষ এখন খুব একটা নেই। তিনি আজ থাকলে আমাদের সাহস দিতে পারতেন। আল্লাহ মাহফুজ উল্লাহর মত একজন গুনী মানুষকে দিয়েছেন এজন্য আমাদের শুকরিয়া করতে হবে। তার মূল অবধান হচ্ছে পরিবেশ সাংবাদিকতা। পারিবেশ সাংবাদিকতায় অনেকদিন অমর হয়ে থাকবেন। সেইসঙ্গে মাহফুজ উল্লাহ একজন বিশিষ্ট লেখক। তার লেখা তথ্য ও গবেষণাধর্মী। তিনি তার লেখার জন্য সবার মাঝে বেঁচে থাকবেন। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ সব সময় সত্যের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে , ঐক্যের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, মাহফুজ উল্লাহকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার শুরু থেকে আমি চিনি। আজ সব মহলের মানুষ তাকে সম্মান জানাচ্ছেন। কেন জানেন? কারণ, তিনি ঝুঁকি নিতে জানতেন। যখন ন্যায়ের পক্ষে সত্য বলার, উচিত কথা বলার লোকই ছিল না, মাহফুজ উল্লাহ তখন সহসের সাথে সত্য বলেছেন। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলেছেন। ড. কামাল বলেন, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের কোনো জায়গা নাই, হবেও না। এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। যারা মনে করে, চাপ দিয়ে, অস্ত্রের মুখে বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে স্বৈরতন্ত্রকে এদেশে চিরস্থায়ী করবে, তারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছে। তিনি বলেন, এখন আমরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও চারদিকে স্বৈরতন্ত্রের আলামত লেগে রয়েছে। তবে এজন্য হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, এই অনুষ্ঠানে আমরা যারা এসেছি, সবাই ঐক্যের পক্ষে। হক কথা বলব। আর মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ সামনে নিয়ে এগিয়ে যাব।
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মাহফুজ উল্লাহকে স্মরণ করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, মাহফুজ উল্লাহ এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন এটা ভাবতেও পারিনি, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যপার। চলে যাওয়ার কিছুদিন আগে একটা সভায় এসেছিলেন। সেখানে তিনি বিএনপির কঠিন সমালোচনা করেছিলেন। এটাই ছিল তার বড় গুন, তিনি সত্যকে সত্য বলতেন। তিনি যা বিশ্বাস করতে তা অকপটে বলতেন। তিনি যেমন তার বিশ্বাসে অনঢ় থাকতেন তেমনি অন্যজনের বিশ্বাস বা মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তার মতো এমন সত্যবাদী, সাহসী সাংবাদিকের আজ বড় প্রয়োজন ছিলো। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশতবাসী করেন।
আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নুহ-উল-আলম লেলিন বলেন, আমি আর মাহফুজ উল্লাহ ছিলাম একই ব্যাচের। তিনি ঢাকা কলেজের এবং আমি জগন্নাথ কলেজের। রাজনৈতিকভাবে আমরা ছিলাম দুই মেরুর। তবে আমরা দুজনের ছিলো ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তিনি সব সময় যুক্তি দিয়ে কথা বলেছেন। তিনি আমার মতের বিরুদ্ধে হলেও একজন পরিচ্ছন্ন, পরিশিলিত মানুষ ছিলেন। তিনি সংস্কৃতিবান, শুভবুদ্ধির মানুষ। তিনি অন্যের মতামতের প্রতি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। এ জন্য আমরা কাছাকাছি থাকতে পেরেছি। তিনি মাতৃভূমির কল্যাণে কাজ করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, যে দেশে মুক্তচিন্তা নেই সেখানেও মাহফুজ উল্লাহ যুক্তি দিয়ে সত্যকে বলার চেষ্টা করছেন। যে সমাজে কথা বলা ছিলো কঠিন তিনি সেখানেও যুক্তি দিয়ে, তথ্য দিয়ে কথা বলেছেন। এ দেশে তিনি কথা বলার জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিকদল (জাসদ)’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, মাহফুজ উল্লাহর সঙ্গে আমার পরিচয় ষাটের দশক থেকে। আমার ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। এই এমুহূর্ত মাহফুজ উল্লাহকে দরকার ছিল তখন তিনি আমাদের ছেড়ে গেলেন। কোনো হুমকি ভয়ভীতি মাহফুজ উল্লাহর কাছে পৌঁছাতে পারেনি, তাকে সত্য বলা থেকে থামাতে পারেনি। মৃত্যুর সময় আত্মতুষ্টি নিয়ে যেতে পারেননি। মাহফুজ উল্লাহ জনগণের ঐক্য ও আন্দোলনের কথাই বলে গেছেন।
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, মাহফুজ উল্লাহকে আমি জানি ছাত্র অবস্থা থেকে। তিনি অনেক লিখেছেন, এরমধ্যে একটি লেখায় তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তা হচ্ছে ছাত্র ইউনিয়নের ইতিহাস। তিনি তার লেখায় নির্মোহভাবে সত্যকে তুলে ধরেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, মাহফুজ উল্লাহকে আমি ছোটভাই হিসেবে জানতাম। তিনি এত দ্রুত চলে যাবেন ভাবতেও পারিনি। তিনি ছিলেন অত্যান্ত স্বচ্ছতার অধিকারী, পরিমার্জিত রুচিশীল সাংস্কৃতির মানুষ। তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্য বলেছেন নির্ভয়ে। এই মুহূর্তে তার খুব দরকার ছিল।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, আজ অত্যন্ত ভারাক্রান্ত। আমি জেলে যাওয়ার দুইদিন আগে কথা বলেছিলাম। তিনি বললেন, তাহলে একটা কনফারেন্স করব, আমি বললাম দরকার নেই। তিনি মুখে হাসি রেখেই অনেক সত্য কথা বলতেন। তিনি যুক্তি দিয়ে তথ্য দিয়ে কথা বলতেন। ন্যায়ের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন। আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় সত্য কথা বলার সুযোগ নেই। স্বাধীন সাংবাদিকতার স্থান নেই। মাহফুজ উল্লাহ সাহস করে অনেক কথা বলেছেন। জাতীয়তাবাদী স্বাধীন সত্তা ছিলেন, এক্ষেত্রে তিনি অনেকটাই কথা বলতে পেরেছেন।
দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল মাহফুজ উল্লাহ ভাইকে টকশোতে আনার। তিনি যুক্তিতে কথা বলতেন। যাদের সঙ্গে তার মত পার্থক্য ছিলো তারাও আজ এখানে এসেছেন। তার সঙ্গে আমারও মতপার্থক্য ছিলো তবুও তার সঙ্গে ঝগড়া করা যেত তিনি তা খুব সহজে হাসি দিয়ে গ্রহণ করতেন। তিনি যুক্তি দিয়ে, তথ্য দিয়ে অনেক কঠিণ সত্য কথা অকপটে বলতে পারতেন। তার মতো সত্য বলার লোক হারিয়ে আমাদের সত্যি অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, মাহফুজ উল্লাহ কোনো দলের অনুগত ছিলেন না। তার পছন্দের দল ছিল, মত ছিল। তিনি একটা ভারসাম্য রেখে সত্য কথা বলতেন। তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। মাহফুজ উল্লাহ ছিলেন এ ধারার ওয়ান ম্যান আর্মি।
গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশ একজন স্বীকৃত পেশাজীবীকে হারিয়েছে। তার শেষ বই দুইটা গবেষণাধর্মী। সেখানে তিনি অনেক সত্য উদঘাটন করেছেন। অনেক মিথ্যা স্পষ্ট হয়েছে। তিনি ওসমানীকে নিয়ে বই লিখতে শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধ তাজউদ্দিন, ওসমানী তাদের বাদ দিয়ে সম্ভব নয়। মাহফুজ উল্লাহ ইতিহাসের অনেক সত্য উদঘাটন করেে গেছেন। আজ যখন বাক স্বাধীনতা নেই, সত্য বলা কঠিন এ সময় তার বড় প্রয়োজন ছিল।
প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, এমন নির্ভিক সত্যকে সত্য বলার সাংবাদিক এখন খুব কম। তিনি মেরুদন্ড সোজা করে হাঁটতেন। তার মত সাংবাদিক পাওয়া দুষ্কর। তিনি মানুষ হিসেবেও ছিলেন অনন্য একজন ভালো মানুষ। তিনি মানুষকে ভালোবাসতেন, ভালোবাসা জানাতেন। তিনি চিন্তা চেতানায় অনেক অগ্রগামী ছিলেন।
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. সাদাত হোসেন বলেন, মাহবুব উল্লাহর ছোট ভাই হিসেবে আমাদের কাছে আসতো। ওই সময় থেকে আমাদের ছেড়ে কথা বলতো না। তিনি সাংবাদিকতায় এসেও যুক্তির নিরিখে কথা বলে গেছেন। টকশোতে মাহফুজ উল্লাহ নির্ভয়ে কথা বলতেন। মাহফুজ উল্লাহর কথায় আমি মুগ্ধ হয়ে থাকতাম, তার কাছ থেকে আমি শিখেছি। মাহফুজ উল্লাহ অনন্য সাধারণ ব্যক্তি ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অত্যন্ত সজ্জন, প্রণোচ্ছল একজন ব্যক্তি ছিলেন। আমরা একই রাজনীতি করেছি। মাহফুজ উল্লাহর টকশোর কথায় আমি ছিলাম মুগ্ধ। তার বইগুলো এত সুন্দর ছিলো যা প্রশংসনীয়। তিনি সব কিছু তথ্য দিয়ে যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করেছেন। তার মতো সত্যনিষ্ঠ লোকের খুব প্রয়োজন ছিল।
অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, আজকে আমাদের জাতীর জীবনে যেরকম অন্ধকার নেমে এসেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে সেটা মৃত সমাজ। এক্ষেত্রে মাহফুজ উল্লাহ ছিলেন ব্যতিক্রম। মাহফুজ উল্লাহ ছিলেন সত্য প্রকাশে আপসহীন। আমরা প্রায় একইসঙ্গে টকশোতে বসতাম, এক এলাকায় থাকতাম। ওর আর আমার ভিতর কোনো বিভেদ ছিলো না। তিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিপিডির ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান, টকশো উপস্থাপিকা নবনীতা চৌধুরী প্রমুখ। অন্যান্যে মধ্যে ছিলেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ডা. মোস্তাহিদুর রহমান, ড. সুকোমল বড়ুয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, ছড়াকার আবু সাহেল প্রমুখ। এ ছাড়া মরহুম মাহফুজ উল্লাহর বড় মেয়ে অঙ্গনা তার বক্তব্যে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার বাবা জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ