পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনগণের সম্মিলিত শক্তির সামনে কোনো স্বৈরতন্ত্রই টিকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভাসানী অনুসারী পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ এবং রাষ্ট্রচিন্তা নামে চার সংগঠনের নেতারা। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে শহীদ আসাদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সমাবেশ থেকে এ কথা বলেন তারা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু। বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য রাখাল রাহা, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রাশেদ খান, যুব অধিকার পরিষদের আহবায়ক আতাউল্লাহ। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আইয়ুব খান মৌলিক গণতন্ত্রের নামে দেশের গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছিলেন সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে উন্নয়নের বোলচাল দিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই অভিলাস পূরণ হয়নি। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানে উন্নয়নের দশক পালনের প্রাক্কালেই পতন ঘটে আইয়ুব শাহীর। মওলানা ভাসানীর ‘আসসালামু আলাইকুম’ ঘোষণা এবং আসাদের আত্মত্যাগ দেশকে মুক্তিযুদ্ধের দিতে নিয়ে গেছে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানই দেশের জনগণের মধ্যে স্বাধীনতার বীজ পুঁতে দিয়েছিল। জনগণকে মুক্তির লড়াইয়ে সক্রিয় করেছিল। গণঅভ্যুত্থান প্রমাণ করেছিল জনগণের সম্মিলিত শক্তির সামনে কোনো স্বৈরতন্ত্রই টিকে থাকতে পারে না। জনগণের সেই শক্তি গড়ে তুলে দেশে জনগণের গণতন্ত্র কায়েম করার মাধ্যমেই আসাদের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।