Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

এখন চ্যানেলগুলোই নাটকের সবকিছু ঠিক করে দিচ্ছে-শর্মিলী আহমেদ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

প্রখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ এ পর্যন্ত দুই শতাধিক সিনেমা ও তিন শতাধিক নাটকে কাজ করেছেন। তার অভিনয়ে এবং অবয়বে দর্শক অতি আপন একজনকে খুঁজে পান। মনে হয়, তিনি আমাদের মমতাময়ী মা, খালা বা নানী, দাদী। বলা যায়, তিনি অতি আপন একজন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এই প্রখ্যাত অভিনেত্রীর সঙ্গে উত্তরাস্থ তার বাসভবনে কথা হয়। কথার মাধ্যমে তার বৃহৎ কর্মপরিসরের উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরেছেন আশিক বন্ধু।
প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে অভিনয় করছেন শর্মিলী আহমেদ। এখনও অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিনয় তার রক্তের সাথে মিশে আছে। রক্তের এই টানে অভিনয় ছাড়তে পারেননি। একদিন কাজ না থাকলে যেন সময় কাটেনা তাঁর। অভিনয় জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শর্মিলী আহমেদ বলেন, ‘তখন ৬২ কিংবা ৬৩ সাল। সেসময় আমি রাজশাহী বেতারে কাজ করেছি। তারপর ৬৪ সালে রাজশাহী থেকে ঢাকায় এসে এসে শূটিং করতাম। তখন ইন্টারে পড়াশুনা ছিল আমার। ট্রেনে করে ঢাকা এসে শূটিং করে আবার রাজশাহী ফিরে যেতাম। ৬৮ সালে সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘আবির্ভাব’ দিয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত কাজ করে চলেছি। বড় ব্যানার, বড় বড় পরিচালকের সিনেমায় কাজ করেছি। এভবেই কেটে গেলো অনেক সময়। দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছি। নাটকের কাজের সংখ্যাও তিন শতাধিক। বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও করেছি। আসলে অভিনয় করব বা অভিনেত্রী হবো-এমন ইচ্ছা ছিল না। শখে করা কাজটা, ভাললাগায় পরিণত হয়ে গেল। তারপর পেশা। এখন অভিনয় ছাড়া কোন কিছুতেই মন বসে না। একদিন কাজ না থাকলে যেন মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। অবসর পেলে কি করেন? শর্মিলী বলেন,‘সময় পেলে নিজে বাজারে গিয়ে বাজার করি। ভালো লাগে। বাসায় নাতনির সাথে খেলি, গল্প করি। নামাজ পড়ি। স্ক্রিপ্ট পড়ি। এভাবে সময় কেটে যায়। আপনার পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই? এমন প্রশ্নের জাবাবে শর্মিলী আহমেদ বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে সেসময় মল্লিক বাড়ী বললে, সবাই চিনতো। আমাদের দাদা তফজ্জল মল্লিক। ৪৫ টাকা বেতন পেতেন তখন। আমার বাবা তখনকার এনট্রান্স পাস। বিশাল পরিবার। নামে চিনতো। আমরা ৫ বোন এক ভাই। একমাত্র ভাই পেশায় ডাক্তার। আমাদের তিন নম্বর বোন ওয়াহিদা মল্লিক জলিও অভিনয়ে অনেক ব্যস্ত। অন্যরা সংসার নিয়ে ভালো আছেন। শর্মিলী আহমেদের স্বামী রফিক উদ্দিন আহমেদও একজন নির্মাতা ছিলেন, তিনি দুটি সিনেমা নির্মান করেছিলেন। শর্মিলী আহমেদ অভিনীত জনপ্রিয় সিনোমার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো, উজালা, ঠিকানা, আবির্ভাব, আগুন, পলাতক, বসুন্ধরা, এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী, হাঙ্গর নদী গ্রেনেড, এখনো অনেক রাত, তোমাকে চাই, কুসুম কলি, কাজের মেয়ে, আমার স্বপ্ন তুমি, চাচ্চু, আকাশ ছোঁয়া ভালবাসা, ৭১-এর মা জননী, আকাশ কত দূরে, স্বর্গ থেকে নরক ইত্যাদি। বর্তমানে কিসের সংকট? ভালো গল্প, প্রযোজক না শিল্পীর? শর্মিলী বলেন, ‘এখন তো চ্যানেলগুলোই সব ঠিক করে দিচ্ছে। চ্যানেলের কথা মতো শিল্পী, গল্প সব ঠিক করা হয়। সিনিয়র শিল্পীদের হাতে বলতে গেলে কাজ কম। যথাযথ গল্পে সঠিক শিল্পীকেও নেয়া হচ্ছেনা। অনেক কাজ হলেও, মান ঠিক হচ্ছেনা। চারিদিকে সব অগোছালো কাজ চলছে। ফলে ভালো মানের নাটক ও দর্শক কমে যাচ্ছে। আমাদের কাজ অনেক কমে গেছে। অথচ মনে হয় এখনো প্রতিদিন অভিনয় করি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ